এখন থেকে যানবাহনের সব মামলা ই-ট্রাফিক ব্যবস্থায়
চুয়াডাঙ্গায় ই-ট্রাফিক কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় ট্রাফিক বিভাগকে শতভাগ ডিজিটালের আওতায় আনার অংশ হিসেবে ই-ট্রাফিক ব্যবস্থার যুগে প্রবেশ করলো পুলিশ। মামলা দায়েরের জটিলতা ও জরিমানা পরিশোধের ভোগান্তি কমাতে ই-ট্রাফিকিং প্রসিকিউশন অ্যান্ড ফাইন পেমেন্ট সিস্টেমের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের শহীদ হাসান চত্বরে অনুষ্ঠানিকভাবে ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম। শুধু চুয়াডাঙ্গায় নয়, ই-ট্রাফিকিং প্রসিকিউশন কার্যক্রম একযোগে শুরু হয়েছে খুলনা রেঞ্জের ১০টি জেলায়। পুলিশ সুপার বলেন, সরকার সেবা সহজ করতে এবং দুর্নীতি কমাতে সব ক্ষেত্রে ডিজিটাল সুযোগ-সুবিধা বাড়াচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে এখন থেকে চুয়াডাঙ্গাতে ট্রাফিক বিভাগের সব মামলা ই-ট্রাফিক সিস্টেমে হবে। এতে মানুষের হয়রানি কমবে। সেই সঙ্গে দুর্নীতি করার কোনো সুযোগ থাকবে না। ইউ-ক্যাশের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করতে পারবেন গ্রাহকেরা। তিনি বলেন, ম্যানুয়াল ও সনাতন পদ্ধতিতে মামলা দায়ের ও জরিমানা আদায়ের কারণে ট্রাফিক বিভাগের কর্মী ও জরিমানা দাতা-সবাইকে ভোগান্তি পোয়াতে হয়। এ ভোগান্তি কমাতে ‘ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশন অ্যান্ড ফাইন পেমেন্ট সিস্টেম’ চালু করা হয়েছে। পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম আরও বলেন, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ মোতাবেক এখন থেকে ওই পদ্ধতিতে বিভিন্ন যানবাহন চেকিং করবে পুলিশ। জরিমানার অর্থ মোবাইল ব্যাংকিং ইউ-ক্যাশের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। ‘ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশন অ্যান্ড ফাইন পেমেন্ট সিস্টেম’ নামক প্রযুক্তি নির্ভর কার্যক্রমের মধ্যদিয়ে ট্রাফিক বিভাগ ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। এ ব্যবস্থায় মামলার কপি নিয়ে যানবাহন চালক বা মালিককে ট্রাফিক অফিসে কিংবা ব্যাংকে গিয়ে আগের মতো লাইনে দাঁড়াতে হবে না। এছাড়া মামলা নিয়ে সন্দেহ ও অভিযোগও দূর হবে। মামলা দায়েরের সঙ্গে সঙ্গে মেশিন থেকেই জরিমানার স্লিপ বের হয়ে আসবে, যা নিয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক জরিমানা পরিশোধ করে মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে। উদ্বোধনের সময় দুটি মোটরসাইকেল চালকের গাড়ির ট্যাক্স টোকেন ও হেলমেট না থাকায় ১৩ হাজার টাকার জরিমানা করে সিøপ হাতে ধরিয়ে দেয় পুলিশ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) কনক কুমার, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান, ট্রাফিক পরিদর্শক ফকরুল আলম, মেহেদি হাসান, শাহাবুদ্দিন মোল্লা, মাহফুজ হোসেনসহ ট্রাফিক পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা।