স্টাফ রিপোর্টার: দেশে করোনা ভাইরাসে মাত্র চারদিনে ১ হাজার মানুষের প্রাণ গেলো। এ নিয়ে দেশে এই ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যুর মোট সংখ্যা ছাড়িয়ে গেলো ২২ হাজার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪৮ হাজার ১৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ১২ হাজার ৬০৬ জনের মধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এই সময়ে মত্যু হয়েছে আরো ২৪৮ জনের। নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩ লাখ ৩৫ হাজার ২৬০ জন। তাদের মধ্যে ২২ হাজার ১৫০ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনা ভাইরাস। কঠোর লকডাউনের মধ্যেই গত ২ আগস্ট দেশে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা ২১ হাজারের দুঃখজনক মাইলফলক পেরিয়ে গিয়েছিল। তা ২২ হাজারে পৌঁছাল মাত্র চার দিনে। আগের দিন বৃহস্পতিবার সারা দেশে প্রায় ৪৭ হাজার নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল, তাতে ১২ হাজার ৭৪৪ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ে। আর এক দিনে মৃত্যু হয় রেকর্ড ২৬৪ জনের। সেই হিসাবে এক দিনে শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। সরকারি হিসাবে এক দিনে সেরে উঠেছেন ১৫ হাজার ৪৯৪ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১১ লাখ ৭২ হাজার ৪৩৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৪৮ হাজার ৮০৭টি, আর পরীক্ষা হয়েছে ৪৮ হাজার ১৫টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হলো ৮০ লাখ ৪৩ হাজার ৬৯৩টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৫৯ লাখ ৩২ হাজার ৩২২টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২১ লাখ ১১ হাজার ৩৭১টি। গত এক দিনে করোনা রোগী শনাক্তের হার ২৬ দশমিক ২৫ শতাংশ আর এখন পর্যন্ত ১৬ দশমিক ৬০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ৮১ শতাংশ আর মৃত্যুর হার এক দশমিক ৬৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২৪৮ জনের মধ্যে পুরুষ ১৩৮ জন আর নারী ১১০ জন। এদের নিয়ে দেশে করোনায় এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাবে পুরুষ মারা গেলেন ১৪ হাজার ৮২২ জন আর নারী ৭ হাজার ৩২৮ জন। ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২৪৮ জনের মধ্যে ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে রয়েছেন দুই জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৩৯ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৭২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৬২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৯ জন আর ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে রয়েছে সাত জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, এদের মধ্যে আছেন ঢাকা বিভাগের ৬৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৭৫ জন, রাজশাহী বিভাগের ১৬ জন, খুলনা বিভাগের ৩৬ জন, বরিশাল বিভাগের ২০ জন, সিলেট বিভাগের ১৬ জন, রংপুর আর ময়মনসিংহ বিভাগের আট জন করে। ২৪৮ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ২০৯ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৩৩ জন আর বাড়িতে ছয় জন।