করোনা টিকা নিতে অনলাইনে নিবন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার: করোনাভাইরাসের টিকা নিতে আগে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে। এ সময় জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদের তথ্য যাচাই করা হবে। করোনার টিকা কেন্দ্র স্থাপনের জন্য আলাদা ১৫ ধরনের প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করা হয়েছে। এই টিকা দেয়ার জন্য প্রচলিত টিকা কেন্দ্র ব্যবহার করা হবে না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ টিকা বিতরণ ও প্রস্তুতি কমিটি এমন পরিকল্পনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে।

করোনার টিকাবিষয়ক জাতীয় পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, সরকার সব মানুষকে একসঙ্গে টিকা দিতে পারবে না। এ জন্য টিকা গ্রহণকারীদের অগ্রগণ্যতার ক্রম বা অগ্রাধিকার তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে জাতীয় পরিকল্পনায়। ওই তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির তত্ত্বাবধান করবে জেলা/সিটি করপোরেশন/ পৌরসভা/উপজেলা কোভিড-১৯ কমিটি। সেই নাম ধরে নিবন্ধন করবে এটুআই কর্মসূচি। নিবন্ধনের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্মনিবন্ধন সনদ বা পাসপোর্টের দরকার হবে। এর পাশাপাশি কর্মকর্তা বা কর্মচারীর নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র ব্যবহার করা হবে।

সূত্র জানায়, গতকাল ভ্যাকসিনের অগ্রগতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি সভাও হয়েছে। সেখানে ভ্যাকসিনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়। সামনে আরো কী করণীয় তা নিয়েও কথা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তবে নিবন্ধনের কাজ কবে নাগাদ শুরু হবে, তা বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

কোভিড-১৯ টিকা বিতরণ ও প্রস্তুতি কমিটি সূত্র মতে প্রথমত, অনলাইনে কী পদ্ধতি বা প্রক্রিয়ায় নিবন্ধন হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। একজন ব্যক্তির নিবন্ধনে বেশি সময় দরকার হতে পারে, এমন পদ্ধতিতে যাবে না সরকার। দ্বিতীয়ত, মাঠপর্যায়ে অগ্রাধিকারের তালিকা কে কীভাবে করবে, তাও এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (এমআইএস) এবং মুখপাত্র ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে পারবেন না।

এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির তথ্য মতে, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিতে টিকার জন্য কার্ড ব্যবহার করা হয়। সেই কার্ড মূলত শিশু এবং কিছু ক্ষেত্রে মায়েদের জন্য ব্যবহার করা হয়। করোনা টিকার জাতীয় পরিকল্পনায় নতুন কার্ড তৈরি করার কথা বলা হয়েছে। কার্ডে প্রথম ডোজ ও দ্বিতীয় ডোজের জন্য পৃথক রং ব্যবহারের কথা বলা আছে। প্রথম ডোজের মতো টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের সময় এই কার্ড সঙ্গে রাখতে হবে। কার্ডে ব্যক্তির মৌলিক তথ্যের (নাম, ঠিকানা, বয়স, পেশা) পাশাপাশি যক্ষ্মা, ক্যানসার, এইচআইভি, কিডনি রোগ আছে কিনা, সেই তথ্য জানার ব্যবস্থা থাকবে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি সূত্র জানা গেছে। করোনার টিকার জাতীয় পরিকল্পনায় বলা আছে, সব টিকাগ্রহীতা টিকা নেয়ার সময় সমান সুযোগ পাবে। বৃদ্ধ এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের টিকা নেয়ার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা না হয় এমন কথা মাথায় রেখে টিকা কেন্দ্র স্থাপনের কথা ভাবা হয়েছে। টিকা কেন্দ্রে বসার জন্য পর্যাপ্ত আসন থাকবে। টিকাদানের কক্ষগুলোতে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা থাকবে। বৃদ্ধ ও দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভোগা ব্যক্তিদের দেখভাল করার জন্য প্রতি কেন্দ্রে একজন করে স্বেচ্ছাসেবক রাখা হবে। সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিতে ব্যবহৃত কেন্দ্রগুলো করোনা টিকা দেয়ার কাজে ব্যবহার করা হবে না। টিকা দেয়া হবে: উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, জেলা সদর ও জেনারেল হাসপাতাল, সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও বিশেষায়িত হাসপাতাল, সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, সিটি কপোরেশন হাসপাতাল, ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়, আরবান প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সরকারি ডিসপেনসারি, ১০ থেকে ২০ শয্যার সরকারি হাসপাতাল, মা ও শিশু হাসপাতাল, পুলিশ হাসপাতাল, বন্দর হাসপাতাল, সচিবালয় ক্লিনিক ও জাতীয় সংসদ স্বাস্থ্যকেন্দ্র।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More