কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ায় বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি থেকে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সামিউল হক সম্রাটকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মীকেও গ্রেফতার করা হয়। এদিকে বিএনপির কর্মসূচি থেকে ছাত্রলীগের নেতাকে গ্রেফতারের ঘটনায় বিব্রত জেলা ছাত্রলীগ। অন্যদিকে সম্রাটকে নিজেদের কর্মী দাবি করেছে বিএনপি।
জানা যায়, শনিবার পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে জিয়ারখী ইউনিয়নের কমলাপুর বাজারে জড়ো হন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দেন। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিএনপি নেতারা প্রতিরোধ করলে ক্ষমতাসীনরা পালিয়ে যান। পরে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সম্রাটসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় ১৩ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এদের মধ্যে সম্রাটও আছেন। তাকে বিএনপির মিছিল থেকে গ্রেফতার করা হয়।
ছাত্রলীগের নেতারা জানান, সম্রাট জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সহ-সম্পাদক। আগের কমিটির উপ-আইনবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ছাত্রলীগের কমিটিতে থাকলেও তিনি বিএনপির নানা কর্মসূচিতে অংশ নেন। কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান অনিক বলেন, সম্রাট আমাদের কমিটিতে আছে। তার ঘটনায় আমরা বিব্রত।
এদিকে সম্রাটকে নিজেদের কর্মী দাবি করে জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক জাকির হোসেন সরকার বলেন, বিনা উস্কানিতে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা আমাদের পদযাত্রায় বাধা দেন। মিছিলের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় দলের ১৩ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে। তারপরও বিএনপির পদযাত্রা সফল হয়েছে। গ্রেপ্তারদের দ্রুত মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান তিনি।