দেশে করোনায় আরও ২২ জনের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার: দেশে করোনাভাইরাসে শনাক্ত কমলেও ফের বেড়েছে মৃত্যু। একদিনে আরও এক হাজার ২৯২ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আগের দিন শনাক্ত হয়েছিল ১৪৯৭ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৭ লাখ ৯৪ হাজার ৯৮৫ জন হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ২২ জন। বুধবার মারা যান ১৭ জন। সবমিলিয়ে দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২ হাজার ৪৮০। সরকারি হিসাবে, আক্রান্তদের মধ্যে একদিনে আরও ১২৯১ জন সুস্থ হয়ে ওঠেছেন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৩৫ হাজার ১৫৭ জন। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ছর ৮ মার্চ। তা সাড়ে সাত লাখ পেরিয়ে যায় এ বছর ২৭ এপ্রিল সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হন। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১১ মে তা ১২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যু হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৪৮৬টি ল্যাবে ১৫ হাজার ৯১৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৫৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৬৮টি নমুনা। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৩ লাখ ২ হাজার ৪৭৯টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ লাখ ৮৪ হাজার ৭৮৯টি। একদিনে নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ৮ দশমিক ১২ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের ১৪ জন পুরুষ আর নারী আটজন। তাদের মধ্যে ১৮ জন সরকারি হাসপাতালে ও চারজন বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান। এদের মধ্যে ১১ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ছয়জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, তিনজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর, একজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর এবং একজনের ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল। মৃতদের মধ্যে পাঁচজন ঢাকা বিভাগের, পাঁচজন চট্টগ্রাম বিভাগের, পাঁচজন রাজশাহী বিভাগের, দুজন বরিশাল বিভাগের, তিনজন সিলেট বিভাগের এবং দুজন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। এ পর্যন্ত মৃত ১২ হাজার ৪৮০ জনের মধ্যে ৯ হাজার ১৯ জন পুরুষ এবং ৩ হাজার ৪৬১ জন নারী। এতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৪২৫ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৪৩০ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ১ লাখ ৩৩ হাজার ২২ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ৩৩ হাজার ২২ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৩৮৮ জন।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More