দেশে করোনায় আরও ৩৩ জনের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার: দেশে করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে শনাক্তের সংখ্যা। ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার) আরও ২ হাজার ৬৫৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময়ে শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আর মারা গেছেন ৩৩ জন। পাশাপাশি সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮৯০ জন। এখন পর্যন্ত দেশে মোট শনাক্ত হয়েছেন ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৪ জন, মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ২৬৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৪১ হাজার ৭৫০ জন।
গতকাল বুধবার কোভিড-১৯ সম্পর্কিত নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। মঙ্গলবার ৭ হাজার ৭১২টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছিলো ১ হাজার ৯১৮ জনের। ওইদিন দেশে ৫০ জন কোভিড-১৯ রোগী মারা যান। তিনি জানান, করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য ২৪ ঘণ্টায় ৮৩টি পরীক্ষাগারে নমুনা সংগ্রহ করা হয় ১১ হাজার ৯৬৪টি, নমুনা পরীক্ষা করা হয় ১১ হাজার ১৬০টি। এখন পর্যন্ত ১২ লাখ ১২ হাজার ৪১৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩২ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ এবং আটজন নারী। এখন পর্যন্ত মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ২ হাজার ৫৭৪ জন এবং নারী ৬৯৩ জন। গত একদিনে যারা মারা গেছেন, তাদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৯১ থেকে ১০০ বছরের দুজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের একজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের ছয়জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের ১০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের আটজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের চারজন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুজন। বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা যায়, মারা যাওয়াদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে নয়জন, খুলনা বিভাগে একজন, রাজশাহী বিভাগে একজন, রংপুর বিভাগে তিনজন এবং বরিশাল বিভাগে একজন। ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে মারা গেছেন ৩১ জন এবং দুজন বাড়িতে মারা গেছেন।
অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৭৫৮ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৪৫৫ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৭৯৪ জন, এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৯৫০ জন। বর্তমানে আইসোলেশন করা হয়েছে ৫৩ হাজার ৪০৫ জনকে। প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম মিলিয়ে ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ১ হাজার ৮৪৭ জনকে। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৬৭৯ জনকে। কোয়ারেন্টিন থেকে ২৪ ঘণ্টায় ছাড় পেয়েছেন ২ হাজার ৬১৩ জন। এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন তিন লাখ ৯০ হাজার ৩২৯ জন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫৩ হাজার ৩৫০ জন।
নাসিমা সুলতানা বলেন, করোনা উপসর্গ দেখা দিলে নিকটস্থ কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা করান। নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমেই রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। যারা শনাক্ত হবেন, তারা আলাদা থাকবেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More