নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশে সয়লাব মোকাম

স্টাফ রিপোর্টার: মা ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গতকাল প্রথম দিনেই ইলিশে সয়লাব বরিশালের মোকাম। বুধবার রাত ১২টায় শেষ হয় নিষেধাজ্ঞা। এরপর অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন নদী থেকে শিকার করা ইলিশ আসছে বরিশাল মোকামে। গতকাল সকাল পর্যন্ত এসেছে প্রায় ১ হাজার মণ ইলিশ। তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় পর প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে বরিশাল মোকামে। প্রচুর ইলিশ সরবরাহ থাকলেও খুচরা পর্যায়ে দাম কমেনি বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। আড়তদাররা সিন্ডিকেট করে চড়া দামে ইলিশ বিক্রি করছেন এমন অভিযোগ তাদের। নগরীর পোর্ট রোড মোকামের আড়তদার জহির সিকদার বলেন, মোকামে প্রচুর ইলিশ এলেও এর পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের চেয়ে কম। এ কারণে দাম কিছুটা চড়া। আড়তদার নাসির উদ্দিন জানান, গতকাল মোকামে রফতানিযোগ্য এলসি সাইজ (৬০০-৯০০ গ্রাম) প্রতি কেজি ইলিশ ৬০০-৬২৫ টাকা, কেজি সাইজ প্রতিকেজি ৭০০ এবং এক কেজি ২০০ গ্রাম সাইজের প্রতিটি ইলিশ পাইকারি বিক্রি হয়েছে ৭৫০ টাকা দরে। জেলা মৎস্য আড়তদার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নীরব হোসেন টুটুল বলেন, নিষেধাজ্ঞার আগের চেয়ে বরিশাল মোকামে প্রতি মণ ইলিশে ২ হাজার টাকা দাম কমেছে। আগামী কয়েক দিনে সমুদ্রের ট্রলারগুলো ফিরে আসলে ইলিশের সরবরাহ আরও বাড়বে। তখন দামও কিছুটা কমবে বলে আশা করছেন তারা। তিনি বলেন, সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে ইলিশ উৎপাদন বেড়েছে। সরকার সারা বিশ্বে রফতানি উন্মুক্ত করে দিলে জেলে ও ব্যবসায়ীরা ইলিশের ন্যায্যমূল্য পাবেন। সরকারও পাবে প্রচুর রাজস্ব। বরিশাল মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস বলেন, এবার সবার সহযোগিতায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা সফল হয়েছে। এ কারণে মা ইলিশ প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ডিম দিয়েছে অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে। তিনি বলেন, ইলিশ ডিম ছাড়ার পর সমুদ্রে চলে যায়। এ কারণে এখন নদ-নদীতে ইলিশ কিছুটা কম। নদীতে যে ইলিশ পাওয়া যায় সেগুলোর পেটে ডিম নেই বলেও জানান তিনি।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More