পূজা মণ্ডপে অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টাকারীরা পার পাবে না: প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ উল্লেখ করে সবাইকে এক হয়ে চলার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, পূজামণ্ডপে অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টাকারীদের তার সরকার আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যথাযথ শাস্তি তাদের দিতে হবে। এমন শাস্তি, যেন ভবিষ্যতে আর কেউ সাহস না পায়, সেটাই আমরা চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বিকালে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির কেন্দ্রীয় পূজাম-পে ভক্তদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে দেয়া ভাষণে এসব কথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে সঙ্গে সঙ্গেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং সার্বক্ষণিকই আমরা যোগাযোগ রাখছিলাম। এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। যেখানে যেখানে যারাই এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটাবে, সঙ্গে সঙ্গেই তাদের খুঁজে বের করা হবে। এটা আমরা অতীতেও করেছি এবং সেটা আমরা করতে পারব। তিনি একে ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক’ আখ্যায়িত করে বলেন, কুমিল্লায় যে ঘটনা ঘটেছে, তা খুব ব্যাপকভাবেই তদন্ত হচ্ছে, অনেক তথ্য আমরা পাচ্ছি এবং অবশ্যই এ ধরনের ঘটনা যারা ঘটাবে, তাদের আমরা খুঁজে বের করবই। আমরা তা করতে পারব কারণ এখন প্রযুক্তির যুগ। এটা বের করা যাবে এবং সে যেই হোক কেন, যে ধর্মেরই হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা অবশ্যই নেয়া হবে। আর আমরা তা করেছি এবং করব। জাতির পিতা সাংবিধানিকভাবেই আমাদের যার যার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালনের অধিকার নিশ্চিত করে যান উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ১৯৭৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর জাতির পিতার ভাষণের উদ্ধৃতি তুলে ধরে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন। জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘বাংলার মাটিতে সাম্প্রদায়িকতার স্থান নাই। সুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান বাংলাদেশে যারা বসবাস করেন তারা সবাই এ দেশের নাগরিক। প্রতিটি ক্ষেত্রে তারা সমঅধিকার ভোগ করবে।’ বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার-এ নীতিতেই আমরা বিশ্বাস করি। কাজেই আমরা সবসময় এটাই চেষ্টা করি যাতে প্রত্যেকেই নিজের ধর্ম-কর্ম স্বাধীনভাবে আনন্দের সঙ্গে উদযাপন ও পালন করতে পারেন। ৭৫-এর পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াতের মাধ্যমেই এ দেশে ধর্মের নামে বিভেদ সৃষ্টি বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী দেশে-বিদেশে অবস্থানকারী সব সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা জানান এবং নিজেরা নিজেদের যেন ক্ষুদ্র সম্প্রদায় বা সংখ্যালঘু না ভাবেন সেজন্য সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি আহ্বান জানান।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More