প্লে-নার্সারি ও কেজি আজ খুলছে না : বিশ্ববিদ্যালয় কবে খুলবে জানা যাবে এ সপ্তাহেই

স্টাফ রিপোর্টার: স্কুল-কলেজ খুললেও প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম আপাতত বন্ধই থাকছে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্লে­নার্সারি ও কেজি শ্রেণিগুলো খুলছে না। ফলে ছোট্ট শিশু যারা এ বছরই প্লে বা নার্সারিতে ভর্তি হয়েছে, তাদের আজ রোববার থেকে স্কুলে যাওয়া হচ্ছে না। এতে কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো আগের মতো জমে ওঠার সম্ভাবনা নেই। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ১৫ অক্টোবরের আগে খুলবে কি না তা এ সপ্তাহেই জানা যেতে পারে।
জানা যায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেশির ভাগেই প্রথম শ্রেণির আগে মাত্র একটি ক্লাস আছে। তবে সরকার আগামীতে দুই বছরের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার ঘোষণা দিয়েছে। আজ থেকে এই প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের ক্লাস হচ্ছে না। আবার কিন্ডারগার্টেনে প্রাক-প্রাথমিক তিন বছরের। বিশেষ করে প্লে-নার্সারি ও কেজি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ভিড় থাকে কিন্ডারগার্টেনে। কারণ সরকারি মাধ্যমিক বা বড় স্কুলগুলোতে প্রথম শ্রেণি থেকে শুরু হয়। ফলে আগে দুই-তিন বছর কিন্ডারগার্টেনে পড়ে শিক্ষার্থীরা বড় স্কুলে ভর্তির প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু এসব ক্লাস না খোলায় কিন্ডারগার্টেনেও আজ থেকে খুব বেশি শিক্ষার্থীর দেখা মিলবে না।
বাংলাদেশে কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান এম ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, ‘দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আমরা পথে বসেছি। ১০ হাজারের মতো স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক শিক্ষক পেশা বদল করেছেন। এ অবস্থায় স্কুল খুললেও প্রাক-প্রাথমিক বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে আমাদের স্কুলে খুব একটা শিক্ষার্থী আসবে না। তবে নভেম্বর থেকেই আমরা পরবর্তী বছরের ভর্তি কার্যক্রম শুরু করি। তাই আগামী বছরের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারব।’
গত ২৬ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে একমত হয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে গত ৫ সেপ্টেম্বর আন্ত মন্ত্রণালয় বৈঠকে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ খোলার ঘোষণা দেওয়া হয়। এই সময় থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় খোলায়ও বাধা নেই বলে জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তবে ১৫ অক্টোবরের আগে বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে কি না সে ব্যাপারে এখন সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। অনেক উপাচার্য আগেভাগেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে চাইলেও কারো কারো এ ব্যাপারে দ্বিমত রয়েছে।
সূত্র জানায়, এ সপ্তাহেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। যদিও নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নেবে সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিল। তার পরও ওই বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সুনির্দিষ্ট রূপরেখা তৈরি হতে পারে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More