স্টাফ রিপোর্টার: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় দোলাপাড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্য একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাত ৪টার দিকে সীমান্তের ৮৮৮ নম্বর মেইন পিলারের কাছে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন নাজির হোসেন মংলু (৪০) ও সাদিক হোসেন (২৩)। নাজির হোসেন উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব ফকিরপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে। অন্যজন সাদিক হোসেন উপজেলার বড়খাতা দোলাপাড়া গ্রামের হাফিজার রহমানের ছেলে। ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলার রহমান খোকন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন সাজু (২৫)। তিনি পূর্ব ফকিরপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। তার পারিবারিক সূত্র জানান, গুলিবিদ্ধ আহত সাজু রংপুরে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এলাকাবাসী ও বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোররাতে উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের দোলা সীমান্ত দিয়ে ১০-১২ জনের একটি দল ভারত থেকে গরু নিয়ে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আসছিল। এ সময় সীমান্তের ৮৮৮ মেইন পিলারের অধীন ৮ নম্বর সাব-পিলার এলাকায় পৌঁছালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার সিতাই থানার ১৭৫ বড় মধুসূদন অমৃত বিএসএফ ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাদের লক্ষ করে কয়েক রাউন্ড গুলি চালান। এ সময় ভারতের অভ্যন্তরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান দুই বাংলাদেশি। পরে সঙ্গীরা গুলিবিদ্ধ নিহতদের উদ্ধার করে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাফিজুল ইসলাম জানান, গভীর রাতে একটি দল ভারতে গরু আনতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে দুজন নিহত হয়েছেন। তাদের মরদেহ নিজ বাড়িতে আছে। এ বিষয়ে ৬১ বিজিবি দোলাপাড়া বিওপি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল জলিল বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার বক্তব্য দেয়া যাবে না, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বক্তব্য নিন।’ হাতীবান্ধা থানার ওসি শাহ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘দুজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’ ৬১ বিজিবি রংপুরের পরিচালক লে. কর্নেল শাহারিয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিএসএফকে চিঠি দেয়া হয়েছে। বিএসএফ কেন এ কাজটি করেছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। তবে এখনো বিএসএফের পক্ষ থেকে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। পুলিশকে বলা হয়েছে লাশ দুটির ময়নাতদন্তের কাজ সম্পন্ন করতে।