র‌্যাবের হাতে আটক জঙ্গি কাওছারের বাড়ি শৈলকুপায়

দুই বছর আগে এলাকা ছাড়ে : ছিলো না পরিবারের সাথে যোগাযোগ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: বান্দরবানের দুর্গম পাহাড় থেকে শুক্রবার আটক ১০ জনের একজন ঝিনাইদহের কাওসার আহমেদ ওরফে শিশির (৪৬)। সে দুই বছর আগে এলাকা ছাড়ে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাকে নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে জানিয়ে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, রাঙামাটি ও বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকায় র‌্যাবের অভিযানে আটক জামাতুল আনছারের সদস্য কাওছার ওরফে শিশিরের বাড়ি শৈলকুপার হারুনদিয়া গ্রামে। তার বাবা মৃত গোলাম কিবরিয়া। জঙ্গিবিরোধী অভিযানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ও জামায়াতুল আনসারের ১০ সদস্যকে আটক করে র‌্যাব। এদের মধ্যে কাওছার ওরফে শিশির অন্যতম। জানা যায়, তিন ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে সবার বড় সে। বোনেরা বিবাহিত। ছোটভাই কেরামত আলী ড্রাইভার। ছোট ভাই সোহরাব হোসেন কোরআনে হাফেজ। তারা জানান, দুই বছর আগে কাওসার বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হয়। তখন পরিবারের পক্ষ থেকে শৈলকুপা থানায় জিডি করতে গেলে পুলিশ ছবি না থাকায় জিডি গ্রহণ করেনি। স্থানীয় সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে আটকের খবর জানতে পারেন তারা। মা ঝর্না বেগম, ছোট ভাই কেরামত আলী, তার স্ত্রী ও সন্তানসহ একটি আধা পাকা ঘরে বসবাস করেন। শিশিরের স্ত্রীর সংখ্যা ৩ জন। প্রথম স্ত্রী পাশের হড়রা গ্রামের। সন্তান প্রসবের সময় মারা যায় সে। দ্বিতীয় বিয়ে করে ঝিনাইদহ জেলা শহরে। এক মেয়ে আছে দ্বিতীয় স্ত্রীর। পরবর্তীতে চট্টগ্রামে আরও এক বিয়ে করে। সে স্ত্রীর নাম ঠিকানা পরিবারের কেউ জানে না। পারিবারিক সূত্রে আরও জানা যায়, এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে প্রথমদিকে ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতো শিশির। এলাকায় ফিরে এসে স্থানীয় গাড়াগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে লেপ-তোষকের এবং পরে মোবাইল ফোনের ব্যবসা শুরু করে। এলাকায় একজন ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিল সে। ধার্মিক এবং আচার-আচরণে সে ভালো বলে প্রতিবেশিরা জানায়। তাঁর গ্রেফতারের খবর শুনে পরিচিতরা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More