স্টাফ রিপোর্টার: দেশে এক দিনে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গুজ্বরে। এ সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৮৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫০-এ। স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকায় ডেঙ্গুজ্বর ঘিরেও দুশ্চিন্তা বাড়ছে। এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব নির্ণয়ে মরসুমি জরিপ চালানো হয়েছে। সেখানে লার্ভার উপস্থিতি গত বছরের চেয়ে বেশি। এটা সুখবর নয়। দ্রুত ক্র্যাশ প্রোগ্রাম নিয়ে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে।’ সারা দেশের পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গতকাল ডেঙ্গু আক্রান্ত ২৮৪ জনের মধ্যে ২২৪ জন ঢাকার বাসিন্দা। ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬০ জন। বর্তমানে ভর্তি ৮৫০ জনের মধ্যে ৭১১ জন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে আর ঢাকার বাইরে ভর্তি রয়েছেন সর্বমোট ১৩৯ জন। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে গতকাল পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭ হাজার ৩৯৭ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৬ হাজার ৪৮ ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় ১ হাজার ৩৪৯ জন। জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো. একরামুল হক বলেন, ‘এডিস মশার মরসুমি জরিপে আমরা ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের ৯৮ ওয়ার্ডের ১১০ স্পটে দৈবচয়নের ভিত্তিতে ৩ হাজার ১৫০টি বাড়ি নির্বাচন করি। গত বছর এগুলোর মধ্যে ১৫০টি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়া গিয়েছিল। এ বছর প্রায় ৩৫০টি বাড়িতে লার্ভা পাওয়া গেছে। গতবারের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি বাড়িতে লার্ভা পাওয়া গেছে। এটা খুবই উদ্বেগজনক ও আতঙ্কের। নির্মাণাধীন ভবনের মেঝের পানি মশার বড় উৎসস্থল। একটা স্ত্রী মশা পূর্ণকালীন জীবনে পাঁচবারে ১ হাজার মশার জন্ম দিতে পারে। চিপসের প্যাকেট, প্লাস্টিকের কাপ, কনটেইনারে প্রচুর লার্ভা পেয়েছি। মশার লার্ভাস্থলের অধিকাংশই মানবসৃষ্ট।’