নির্বাচন কমিশন গঠন : তালিকায় বাছাইকৃত ২০ জনের নাম
স্টাফ রিপোর্টার: বাছাই শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার পদের জন্য ১০ জনের নাম দু-একদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত করবে সার্চ কমিটি। এজন্য তাদের আরও একটি বা দুটি বৈঠক লাগবে। গতকাল শনিবার অষ্টম বৈঠকে ২০ জনের একটি তালিকা হয়েছে। এখান থেকে দশজনকে চূড়ান্ত করা হবে। এরপর তা পাঠানো হবে রাষ্ট্রপতির কাছে। রাষ্ট্রপতি একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ৪ জন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেবেন। তালিকাভুক্ত নাম বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আইনে বর্ণিত তিনটি যোগ্যতাকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। আজ বিকেল সাড়ে ৪টায় কমিটি নবম বৈঠকে বসবে। সুপ্রিমকোর্টের জাজেস লাউঞ্জে সার্চ কমিটির সভাপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে বৈঠকটি হবে। আইনে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে যোগ্যদের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাবের কথা বলা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) সামসুল আরেফিন শনিবারের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, আইনে বর্ণিত যোগ্যতা অনুসারে প্রস্তাবিত নাম থেকে ২০ জনের একটি প্রাথমিক তালিকা করা হয়েছে। আগামী দু-একটি সভায় চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত হবে। রোববার বিকেল সাড়ে ৪টায় কমিটি আবারও বসবে। এক প্রশ্নের উত্তরে শামসুল আরেফিন জানান, চূড়ান্ত নাম অর্থাৎ ১০ জনের তালিকা প্রকাশ করা হবে কিনা তা শিগগিরই জানা যাবে।
বৈঠকসূত্র জানায়, আজ বৈঠকেই তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিনই নামগুলো রাষ্ট্রপতি বরাবর পাঠানো হতে পারে। তবে বৈঠক বেশি দেরি হলে অর্থাৎ রাত পর্যন্ত গড়ালে রাষ্ট্রপতির কাছে নাম পাঠানোর প্রক্রিয়াটি মঙ্গলবার পর্যন্ত গড়াতে পারে। নাম পাঠানো হয়ে গেলে সার্চ কমিটির সদস্যরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন বলে জানা গেছে।
‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন’-এর ৫ ধারা অনুযায়ী সিইসি ও ইসি পদে কাউকে সুপারিশের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের তিনটি যোগ্যতা থাকতে হবে। প্রথমত-বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে, দ্বিতীয়ত-ন্যূনতম ৫০ বছর বয়স হতে হবে এবং কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত পদে বা পেশায় অন্তত ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
সার্চ কমিটিতে ৩২০ জনের নাম জমা পড়ে। এদের মধ্যে সাবেক বিচারপতি, আমলা, শিক্ষাবিদ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ সামরিক-বেসামরিক ব্যক্তির নাম আছে। প্রস্তাবিত এসব নাম থেকেই তালিকা করতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। সার্চ কমিটি নিজস্ব অনুসন্ধান থেকেও নাম বাছাই করতে পারবে।
এদিকে ১৪ ফেব্রুয়ারি কেএম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এর আগে ৫ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান করে ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেন।
আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সভাপতিত্বে শনিবারের বৈঠকে কমিটির সদস্য হাইকোর্টের বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন, লেখক-অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক, মহাহিসাব নিয়ন্ত্রক ও নিরীক্ষক (সিএজি) মুসলিম চৌধুরী এবং সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ