যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি মডার্নার তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা দেশের সিটি করপোরেশন এলাকায় দেওয়া হবে। সংরক্ষণ তুলনামূলক জটিল বলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম। কোভ্যাক্সের আওতায় মডার্নার সাড়ে ২৮ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশ পেয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া চীন থেকে কেনা সিনোফার্মের ২০ লাখ ডোজ টিকাও চলে এসেছে। এই দুটি টিকা পাওয়ার পর সারাদেশে গণটিকাদান আবার শুরু করেছে সরকার।
খুরশীদ আলম সোমবার বলেন, মডার্নার টিকা যে তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়, দেশজুড়ে সে ধরনের কোল্ড চেইন নেই। “এটা মাইনাস ১৫ থেকে মাইনাস ২৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। এই তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করার করার মতো আমাদের এত সক্ষমতা নাই।” তিনি বলেন, “ঢাকায় এই সুবিধা আছে। আমরা চেষ্টা করছি অন্যান্য সিটি করপোরেশন এলাকায়ও এই তাপমাত্রায় রাখা যায় এমন ফ্রিজ জোগাড় করতে। যদি জোগাড় করতে পারি তাহলে সেগুলো সেসব জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে।” মডার্নার টিকা ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ৩০ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। আর ৮ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এই টিকা ১২ ঘণ্টা ব্যবহারের উপযোগী থাকে। মডার্নার টিকা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ৯৪ দশমিক ১ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর বলে প্রমাণ মিলেছে। এই টিকা ইতোমধ্যে জরুরি ব্যবহারে অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
বাংলাদেশে আসা অন্য সব টিকার মতো মডার্নার টিকাও দুই ডোজ করে নিতে হয়। প্রথম ডোজ দেওয়ার ২৮ দিন পর দিতে হবে দ্বিতীয় ডোজ।