স্কুলছাত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা : মাসহ গ্রেফতার ৫

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে রিয়া খাতুন (৯) নামের এক তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে ওই ছাত্রীর মা, নানা-নানি, ও মামা-মামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের মধুপুর দুর্গাপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। শনিবার দুপুরে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আসামিরা হলেন শিশুর মা শিল্পী খাতুন (২৩), মামা রফিকুল ইসলাম (২৮), মামি রুনা খাতুন (২৩), নানা মোহাম্মদ আলী (৫২) ও নানি রেহেনা খাতুন। তাদের উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের মধুপুর দুর্গাপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। নিহত রিয়া খাতুন মধুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের দহকুলা গ্রামের ভ্যানচালক মো. রাইহান ওরফে বাচ্চুর মেয়ে।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে নানাবাড়ির গোয়ালঘর থেকে স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিলো। এ বিষয়ে ওই দিন রাতেই থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। শুক্রবার সকালে মরদেহটি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তে ওই ছাত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পরে শুক্রবার রাত ১২টার পরে মা, নানা, নানি, মামা ও মামিকে আসামি করে নিহত ওই ছাত্রীর বাবা মো. রায়হান একটি হত্যা মামলা করেন। মো. রায়হান জানান, চার বছর আগে মেয়ের মা অন্য একজনকে বিয়ে করেছেন। মেয়ে কখনও মায়ের কাছে, কখনও নানিরবাড়িতে থাকতো। হঠাৎ ৬ অক্টোবর খবর পাই মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু আত্মহত্যার কোনো কারণ খুঁজে না পাওয়ায় ময়নাতদন্ত করেছিলাম। তিনি আরও বলেন, শুক্রবার পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারি মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। রাতে থানায় মামলা করেছি। আসামিদের উপযুক্ত শাস্তি চাই। কুমারখালী থানার ওসি মো. মোহসীন হোসাইন বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে শ্বাসরোধ করে হত্যার বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। থানায় মেয়ের বাবা মামলা করেছেন। মামলায় মেয়ের মা, নানা, নানি, মামা ও মামিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক সহায়-সম্পত্তির জেরে রিয়াকে হত্যা করা হয়েছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More