হাসপাতাল বেডে দুঃসহ যন্ত্রণায় ছটফট করছে ওরা

স্টাফ রিপোর্টার: বরিশালে লঞ্চে অগ্নিকা-ে দগ্ধ চারজন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তারা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের বেডে দুঃসহ যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। এদের কেউ হারিয়েছেন স্ত্রী-সন্তান, কেউ বাবা-মা, আবার কেউ হারিয়েছেন স্বজন। প্রিয়জনের আহাজারিতে সেখানকার পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে।
গতকাল শনিবার সকালে প্রেসব্রিফিংয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্তলাল সেন জানান, ‘এমভি অভিযান-১০’ লঞ্চে অগ্নিকা-ে দগ্ধদের মধ্যে ২১ জনকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়। তাদের মধ্যে শুক্রবার রাতে দগ্ধ হাবিব খান (৪৫) নামে একজকে আনা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। পাঁচজন চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন। বর্তমানে ১৫ জন সেখানে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদের দুজন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রয়েছেন। ভর্তি হওয়া প্রত্যেকের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। আইসিইউতে থাকা একজনের শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এ ছাড়া বিকাশ মজুমদারসহ (১৬) দুজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। ডাঃ সামন্তলাল সেন জানান, আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, লঞ্চে অগ্নিকা-ে দগ্ধ হওয়া আরও ৩২ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তিদের মধ্যে কতজন শঙ্কামুক্ত এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. সামন্তলাল জানান, পুড়ে যাওয়া রোগীদের অবস্থা নিশ্চিত করে বলা যায় না। তারা শঙ্কামুক্ত কি না, তা এত দ্রুত বলা সম্ভব নয়। চিকিৎসা চলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দগ্ধদের নিয়মিত খবর রাখছেন। গতকাল (শুক্রবার) তিনি ফোন করে সার্বিক অবস্থা জানতে চেয়েছেন। আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিতের নির্দেশনা দিয়েছেন। শনিবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সরজমিনে ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More