চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে আলোচনাসভায় বক্তারা

নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্যদিয়ে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের পক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় বক্তারা বলেন, ‘অবিলম্বে দেশের সংকট মোকাবেলায় নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্যদিয়ে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দিতে হবে। করোনাকালীন সময়ে লক্ষ্য কোটি বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। পররাষ্ট্রনীতিতে বিদেশের প্রভূত্বনীতি বর্জন করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘৭ নভেম্বরের চেতনায় দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও এই সংগ্রামে সকলকে অংশগ্রহণ করতে হবে।’
চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার জেলা বিএনপির উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ে এ আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক মজিবুল হক মজু। প্রধান অতিথি ছিলেন যুগ্মআহ্বায়ক ওয়াহেদুজ্জামান বুলা। জেলা বিএনপির সদস্য শহিদুল ইসলাম রতনের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন জেলা জাসাসের সভাপতি সহিদুল হক বিশ্বাস, বিএনপি নেতা রবিউল ইসলাম লিটন, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি আশরাফ বিশ্বাস মিল্টু, যুগ্মসম্পাদক হাজি রবিউল মল্লিক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এমএ তালহা, যুগ্মসম্পাদক মুনজুরুল জাহিদ, জেলা ছাত্রদলের যুগ্মসম্পাদক জুয়েল মাহমুদ, সাজিদ হাসান মালিক সজিব, জেলা ওলামা দলের সভাপতি ফজলুর রহমান, বিএনপি নেতা আতিয়ার রহমান, আব্দুল ওহাব মাস্টার, শাহ নেওয়াজ কালু প্রমুখ।
অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা রজব আলী সুপার মার্কেটে অবস্থিত জেলা বিএনপির কার্জলয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবুবক্কর সিদ্দিক আবুর সভাপতিত্বে মহান ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনাসভা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও পৌর কাউন্সিলর মো. সিরাজুল ইসলাম মনি। জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিমের উপস্থাপনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম পিটু, জেলা বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান লিপটন, জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চিৎলা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বিপ্লব, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদ মোহাম্মদ রাজিব খান, জেলা মৎস্যজীবী দলের যুগ্মআহ্বায়ক কামরুজ্জামান বাবলু, পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, কুদ্দুস মহলদার, থানা বিএনপির সাবেক দফতর সম্পাদক তরিকুল আলম জোয়ার্দ্দার বিলু প্রমুখ।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদলের সভাপতি শরিফ উর জামান সিজার ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশিদ ঝন্টু প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর যা ঘটেছিলো তা প্রতিদিন ঘটে না, ৭ নভেম্বরের মতো ঘটনা ঘটতে কখনো শতাব্দীকাল। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের প্রাণ ছিলেন স্বাধীনতার মহান ঘোষক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, তারুণ্যে উদ্বেল মেজর জিয়াউর রহামন। দু’ক্ষেত্রেই সংগঠক ও চালক সাধারণ সৈনিক-জনতা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, রাষ্ট্রীয় অখ-ত্ব, স্বতন্ত্র সংস্কৃতি রক্ষার স্বার্থেই আমাদের নিরন্তর ৭ নভেম্বরের চর্চা করতে হবে। কারণ ৭ নভেম্বরের পথই হলো বাংলাদেশের পথ, বাংলাদেশের টিকে থাকার পথ। অন্য অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভবে মহাভারতে বিলীন হয়ে যাওয়া। অতীতে মানুষের ধারণা ছিলো সিপাহী বিদ্রোহের কারণে জনতা এবং সিপাইরা পরস্পর শত্রুতে পরিণত হয়। কিন্তু গোটা বিশ্ব ব্যতিক্রম লক্ষ্য করলো ৭ নভেম্বরের বিপ্লবে। এ বিপ্লবের পর দেশব্যাপী সেøাগান উঠেছিলো, ‘সিপাহী-জনত একতাবব্ধ হয়েছিলো দেশের এক চরম সংকটময় মুহূর্তে।’ রাজনীতিতে জিয়াউর রহমানের প্রথম আবির্ভাব হয়েছিলো ১৯৭১ সালের মার্চে, যেদিন তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে দিশেহারা বিভ্রান্ত মানুষের মনে নতুন আশার সঞ্চার করেছিলেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি অনেকটা পেছনের কাতারে স্বপেশায় ফিরে যান। দ্বিতীয়বারের মতো তাকে আবার রাজনীতিতে দেখা গেল ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর। এবারেও রাজনীতিতে জিয়াউর রহমানের আবির্ভাব ধুমকেতুর মতো হয়েছিল। কিন্তু এবার আর তিনি ধুমকেতুর মতো বিশ্বভূখ-ের অন্ধকারে হারিয়ে যাননি। বরং মানুষের মনের মণিকোঠায় তিনি চিরস্থায়ী হয়ে রয়েছেন। স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয়ের পর আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগের ৩ বছরের শাসনামলে জনজীবন বিভিন্নভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, বিপ্লব ও সংহতি দিবসে মেহেরপুর জেলা বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনাসভায় সভাপতি করেন মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুন। সকাল ১০টায় মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি শেখ সাঈদ, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (মুজিবনগর) আব্দুর রশিদ, যুগ্মসম্পাদক আরজুল্লাহ মাস্টার বাবলু, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুদ্দিন বিশ্বাস, জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক আবু সুফিয়ান হাবু, সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্মসম্পাদক শাহাবুদ্দিন মোল্লা, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদুল হক জাহিদ, সাধারণ সম্পাদক কাওছার আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি তোফায়েল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন মিন্টু, জেলা কৃষকদলের যুগ্মসম্পাদক আরমান আলী, সদর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক লিয়াকত আলী, মুজিবনগর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আবুল হাসান, সদস্য সচিব আনোয়ারুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের মুজিবনগর উপজেলা শাখার আহবায়ক আকিব জাভেদ সেনজিন, সদর উপজেলার আহবায়ক বখতিয়ার খালিদ বুলবুল, পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক তৌফিক এলাহী, সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফাহিম আহনাফ লিংকনসহ জেলা ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More