পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় একটি ৬ তলা ভবনের নিচতলায় কেমিক্যাল গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে চারজন হয়েছে। এতে দগ্ধ ও ধোঁয়ার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আরো অন্তত ২১ জন।
নিহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- মার্কেটের প্রহরী রাসেল, রাসেলের ফুপা আরেক প্রহরী ওয়ালিউল্লাহ বেপারী (৭০) ও চতুর্থ তলার বাসিন্দা ইডেন মহিলা কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সুমাইয়া।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টা ১৮ মিনিটে হাজী মুসা ম্যানশন নামের ওই ভবনটির নিচতলায় থাকা কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লাগে।
বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন ফকির জানান, ভবন থেকে একজনের দগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে অন্তত ২১ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করার পর আরো একজনের মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে চারজনকে ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ও বাকিদের সাধারণ ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) দিনগত রাত সোয়া ৩টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি টিম কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।
![](https://www.mathabhanga.com/wp-content/uploads/2021/04/ser-300x180.jpg)
জানা গেছে, আগুন লাগা ওই ভবনের নাম হাজী মুসা ম্যানশন। উদ্ধার কাজের জন্য ওই এলাকার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পুরান ঢাকার বংশালে বাবুবাজার ব্রিজ সংলগ্ন আরমানিটোলায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছেন ইডেন মহিলা কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার (২২)। আর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ তার বাবা-মাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। দগ্ধ সুমাইয়াকে রাজধানী মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আর দগ্ধ বাবা-মাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ঢাকা মেডিক্যালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। রাসায়নিকের গুদাম থেকে পুরান ঢাকার আরমানিটোলার ভবনটিতে আগুন লাগে বলে মনে করছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, ভবনের নিচতলার মার্কেটে ১৬ থেকে ২০টি দোকান রয়েছে। এসব দোকানে রাসায়নিক পণ্য কেনাবেচা হতো। ভবনের নিচতলার পেছনের দিকের একটি রাসায়নিকের গুদাম থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে মনে করছে পুলিশ।