দেশে করোনাভাইরাসে একদিনে আরও ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে; নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭৩৯ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদেরকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১১ হাজার ৬৪৪ হল। আর নতুন রোগীদের নিয়ে পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৬৮২।
সরকারি হিসাবে আক্রান্তদের মধ্যে একদিনে আরও ৩ হাজার ৮৩৪ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন; এ পর্যন্ত সুস্থ মোট হয়েছেন ৬ লাখ ৯১ হাজার ১৬২ জন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা সাড়ে সাত লাখ পেরিয়ে যায় গত ২৭ এপ্রিল। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ২৫ এপ্রিল তা ১১ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ১৫ কোটি ২৯ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩২ লাখ ৩ হাজারের বেশি মানুষের। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩ তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৪২০টি ল্যাবে ১৯ হাজার ৪৩১ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৫৫ লাখ ১৮ হাজার ৪১০ টি নমুনা। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫২ শতাংশ। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪০ লাখ ৬৮ হাজার ২৬৫টি; বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৪ লাখ ৫০ হাজার ১৪৫টি।গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের ৪২ জন পুরুষ আর নারী ২৩ জন। তাদের ৪৫ জন সরকারি হাসপাতালে, ১৫ জন বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান। বাসায় মারা গেছেন পাঁচ জন। তাদের মধ্যে ৩৬ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ১৫ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৮ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ২ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ১০ বছরের কম ছিল। মৃতদের মধ্যে ৩২ জন ঢাকা বিভাগের, ১৭ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৬ জন সিলেট বিভাগের, ৪ জন খুলনা বিভাগের এবং ২ জন করে রাজশাহী, বরিশাল ও রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
এ পর্যন্ত মৃত ১১ হাজার ৬৪৪ জনের মধ্যে ৮ হাজার ৪৭৬ জন পুরুষ এবং ৩ হাজার ১৬৮ জন নারী।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ