কারাখানার কলাপসিবল গেট বন্ধ থাকায় বেশি হতাহত : আগুন নেভাতে দেরির অভিযোগে ভাঙচুর বিক্ষুব্ধদের : পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি
স্টাফ রিপোর্টার: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কর্ণগোপ এলাকার হাসেম ফুড লিমিটেডের ছয়তলা ভবনে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে লাশ হয়েছে ৫২ তাজা প্রাণ। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ২৫ জনকে। বৃহস্পতিবার বিকালে এই ঘটনা ঘটে। ভবনটিতে প্রচুর দাহ্য পদার্থের উপস্থিতিতে নেভানোর পরও ফের জ্বলে উঠছিল আগুন। এতে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২২ ঘণ্টা পর শুক্রবার সন্ধ্যায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে ছাই হয়ে যায় সব। কারখানার ভেতর থেকে একের পর এক বের করে আনা হয় আগুনে পুড়ে অঙ্গার হওয়া লাশ। সেখানকার বাতাসে ভাসতে থাকে পোড়া লাশের উৎকট গন্ধ। ভবনের কলাপসিবল গেট বন্ধ থাকায় বাড়ে হতাহতের সংখ্যা। অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশগুলো নিয়ে আসা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। আহত, নিহত ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে কারখানা ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা। বিক্ষুব্ধ শ্রমিক ও স্বজনদের একটি অংশ আগুন নেভানোয় দেরির অভিযোগ এনে ভাঙচুর করেন কারখানাটির পাশের একটি ভবন ও কয়েকটি গাড়ি। এদিকে ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নিহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। পুড়ে বিকৃত হয়ে যাওয়ার কারণে অন্য লাশগুলো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। লাশ শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রাত নয়টা পর্যন্ত ১৮টি লাশের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ঘটনায় বেশ কিছু শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে ফায়ার সার্ভিস। অগ্নিকা-ের কারণ অনুসন্ধান এবং দায়ীদের খুঁজে বের করতে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস এবং কলকারখানা প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের পক্ষ থেকে পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অগ্নিকা-ের প্রকৃত কারণ এখনো নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। তবে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ-কারখানা কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতেই এ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। কর্মক্ষেত্রে অব্যবস্থপনা এবং দায়িত্বশীলদের দায়িত্বে অবহেলার কারণেই এতো প্রাণহানি। এদিকে অগ্নিকা-ের পর শুক্রবার সকালে ভবনটিতে ফাটল দেখা দেয়। এতে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
অগ্নিকা-ের ঘটনায় নিহত যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন, স্বপ্না আক্তার (৪৫), মীনা আক্তার (৪১) ও মোরসালিনসহ (২৮)। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সন্ধ্যা (সাড়ে ৭টা) কারখানার ভেতর থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছিল। উদ্ধার তৎপরতা চালানোর পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বাইরে থেকে ভবনটির ভেতরে পানি ছিটাচ্ছিলো। ফায়ার সার্ভিস জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ৪২ মিনিটে সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকা-ের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে সন্ধ্যার ৬টা ১০ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন। ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করে র্যাব, পুলিশ, জেলা প্রশাসন, আনসার এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা। ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেন সিআইডি ক্রাইম সিনের সদস্যরা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য গাজী গোলাম দস্তগীর, র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান, কলকারখানা অধিদফতরের মহাপরিদর্শক নাসির উদ্দিন আহম্মেদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মো. জায়েদুল আলম ও রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ নুসরাত জাহানসহ বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ, শ্রমিক এবং স্থানীয়দের একাধিকবার সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে দ্বিতীয়বারের মতো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় বিক্ষোভকারীরা। তারা কারখানার গেটসংলগ্ন আনসার ক্যাম্প থেকে ৪টি শটগান ছিনিয়ে নেয়। সেগুলো পাশের খালে ফেলে চলে যায়। ৩টি শটগান পানি থেকে উদ্ধার করা হলেও একটি এখনো উদ্ধার হয়নি। এ ঘটনার সংবাদ সংগ্রহের সময় শ্রমিকদের হামলার শিকার হন কয়েকজন সংবাদকর্মী। অনেক শ্রমিকের সন্ধান মিলছে না বলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে (কারখানার মেইন গেটের বাইরে) শ্রমিকরা এক ঘণ্টা ধরে তা-ব চালায়। এ সময় সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে হেলমেট ছিনিয়ে নেয়া হয়।
নিখোঁজ শ্রমিকদের স্বজনরা ফ্যাক্টরির সামনে এসে ভিড় জমায় আপনজনের খোঁজে। স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অগ্নিকা-ের সময় ৬ তলা ভবনটির মধ্যে ৪ তলার শ্রমিকরা কেউ বের হতে পারেননি। সিকিউরিটি ইনচার্জ ৪ তলার কলাপসিবল গেটটি বন্ধ করে রাখায় কোনো শ্রমিকই বের হতে পারেনি। প্রতিদিন ৪ তলায় ৭০-৮০ জন শ্রমিক কাজ করতেন। চতুর্থতলার শ্রমিকদের ইনচার্জ মাহবুব, সুফিয়া, তাকিয়া, আমেনা, রাহিমা, রিপন, কম্পা রানী, নাজমুল, মাহমুদ, ওমরিতা, তাছলিমাসহ প্রায় ৭০-৮০ জন শ্রমিকের খবর পাওয়া যাচ্ছে না। তারা আরও জানান, ভবনের পঞ্চমতলায় ছিল কেমিক্যালের গোডাউন। আর কারখানা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। তাছাড়া কারখানায় আগুন লাগার পরও কারখানা কর্তৃপক্ষ কেচি গেটের তালা না খোলায় শ্রমিকরা বের হতে পারেনি।
কারখানার শ্রমিক ও ফায়ারের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কারখানাটির ৫ পঞ্চম তলায় একটি কেমিকেল গোডাউন রয়েছে। এ কেমিক্যাল গোডাউনের কারণে আগুন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কারখানাটির কর্মীরা বলছেন, কারখানার ভেতরে অনেক শ্রমিক আটকা পড়েছেন। আগুন লাগার সময় সবাই যখন একসঙ্গে বের হয়ে আসা শুরু করেন, তখন জটলার কারণে অনেকেই কারখানা থেকে বের হতে পারেননি। কারখানা কর্মীদের এমন তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেছে।
শ্রমিকরা অভিযোগ করে বলেন, হাসেম ফুড লিমিটেড কারখানাটির যে ভবনটিতে আগুন লেগেছে সে ভবনটি বিল্ডিং কোড না মেনে করা হয়েছে। অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কারখানাটি পরিচালনা করায় এ অগ্নিকা-ের সূত্রপাত হয়। ঘটনাস্থলে দেখা গেছে, ছয়তলা বিশিষ্ট কারখানাটির সামনে ও পেছন দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের স্নোরুকেল (মই) ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। কিন্তু আগুন ও প্রচ- কালো ধোঁয়া থাকায় ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা ভবনের ভেতরে প্রবেশ করতে পারছিলেন না। শ্রমিকরা আরও অভিযোগ করেন, আগুন লাগার পর কারখানা কর্তৃপক্ষ কলাপসিবল গেট বন্ধ করে দেয়। ফলে অনেক শ্রমিক ভেতরে আটকা পড়েন। তাদের ভেতর থেকে বের করতে পর্যাপ্ত উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন ও কারখানা কর্তৃপক্ষ।
জীবিত উদ্ধার হওয়া এক শ্রমিক বলেন, ছাদের ওপরে একটি পানির ট্যাংকি আছে। সেখানে তারা নারী শ্রমিকসহ ১৪-১৫ জন অবস্থান নেন। আরেক শ্রমিক জানান, সিঁড়ির কাছে কার্টন রাখার জায়গা থেকে আগুনের উৎপত্তি হয়েছে। সেখানে তেল ছিল। আর যদি প্রডাকশন চলত তাহলে বুঝতাম হিটার থেকে আগুন লেগেছে। কিন্তু প্রডাকশন তো বন্ধ। হঠাৎ করে কোথা থেকে কীভাবে লেগেছে কেউই কিছু বুঝতে পারছে না।
আরেক শ্রমিক জানান, সেখানে কার্টন আছে, প্লাস্টিক আছে, বিস্কুট সেকশন আছে, ক্যান্ডি সেকশন, সেন্ট্রাল স্টোর আছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে র্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনায় ৫২ জন মৃত্যুবরণের ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। আমরা নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। আগুন লাগার পরে ফায়ার সার্র্ভিসের লোকজন দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে তাদের কাজ শুরু করেন। এখানে র্যাব, পুলিশ, জেলা প্রশাসন, শিল্প পুলিশ, আনসারসহ স্বেচ্ছাসেবীরা দায়িত্ব পালন করেছেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস এবং কলকারখানা প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করছি, কমিটির তদন্তের মাধ্যমেই কাদের অবহেলায় এ ঘটনা ঘটেছে তা বেরিয়ে আসবে। আর তদন্তের পর দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কারখানার ভেতরে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না, গুদামের ভেতর কর্মীরা গাদাগাদি করে অবস্থান করতেন, আগুন লাগার পর কর্মীদের বাইরে বের হতে না দেয়া, জরুরি নির্গমন পথ না থাকা, ছাদে ওঠার পথ বন্ধ করে রাখা ইত্যাদি অভিযোগ আমরা শুনেছি। সবকিছুই তদন্তের আওতায় থাকবে। আর এ বিষয়টি নিয়ে গুজব না ছড়ানোর জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
কলকারখানা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক নাসির উদ্দিন আহম্মেদ সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের লেবার ইন্সপেক্টর শওকত সাহেব ঘটনাস্থলে আসেন। পরে ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল সৌমেন বড়–য়াসহ পদস্থ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। ফায়ার সার্ভিসের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, কারখানার ভেতরে ৪ তলায় ও সিঁড়ি লোহার শিকের নেট দিয়ে আটকানো ছিল। এ কারণে র্কর্মীরা ছাদে উঠতে পারেননি। তারা ছাদে উঠতে পারলে ফায়ার সার্ভিসর্কর্মীরা সহজেই তাদের উদ্ধার করতে পারতেন। প্রকৃত তদন্ত হলে সবকিছু বেরিয়ে আসবে। এখানে র্পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল কিনা তা আমরা খতিয়ে দেখছি। কলকারখানা অধিদপ্তরের কোনো গাফিলতি ছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে আমাদের কোনো গাফিলতি ছিল না।
কারখানা অধিদপ্তরের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) সৌমেন বড়–য়া বলেন, অগ্নিকা-ের ঘটনায় নিহতদের পরিবার ও আহতদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে। যারা আহত হয়েছেন তাদের সুচিকিৎসার জন্যে ডিআইজির (হেলথ) নেতৃত্বে পৃথক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ দুঃখ প্রকাশ করে শ্রমিকদের সান্ত¡না দিয়ে বলেন, নিহত শ্রমিকের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা ও আহতদের ১০ হাজার টাকা দেয়া হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরে এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনে আরও সহযোগিতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও জানান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম বেপারীকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। কমিটির অন্য সদস্যদের মধ্যে আছেন- রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ফায়ার সার্ভিসের জেলা উপ-সহকারী পরিচালক, পুলিশের একজন প্রতিনিধি এবং কলকারখানা অধিদপ্তরের জেলার একজন কর্মকর্তা। জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, আগুনের ঘটনায় কতজন নিখোঁজ আছেন তার একটি তালিকা প্রস্তুত করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে সেই তালিকা তৈরির কাজ চলছে। স্বজনদের দাবি অনুযায়ী নিখোঁজদের নাম তালিকায় লিপিবদ্ধ করা হবে। একই সঙ্গে যারা ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদেরও একটি তালিকা তৈরির কাজ চলছে। আর আহতদের স্থানীয় ইউএস বাংলা হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক দেবাশীষ বর্ধন জানান, যাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে তাদের শনাক্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। সেখানে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। কারখানার ভেতরে আরও লাশ আছে কিনা তা দেখতে আমাদের তল্লাশি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
কোভিড-১৯ : ২১২ জনের মৃত্যুর দিনে দেশে শনাক্ত রোগী ১০ লাখ ছাড়াল
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ