স্টাফ রিপোর্টার:
ঢাকার উত্তরায় বাসা থেকে এক নার্সের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। শনিবার রাত সাড়ে ১২টায় উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরের ৩/ই রোডের এক নম্বর ভবনের পঞ্চমতলার ভাড়া বাসার কক্ষ থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। রিমা খাতুন (২৫) উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্যাথলজি সেকশনে চাকরি করতেন। তিনি গত বছর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে নার্সিং ডিপ্লোমা পাস করে প্যাথলজিতে চাকরি করার পাশাপাশি নার্সিংয়ে বিএসসি করতেন।
উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘মৃত নারী তার বাবাকে খুব ভালবাসতেন। বেশ কিছুদিন আগে তার বাবা অন্য মহিলাকে বিয়ে করে তাদের থেকে আলাদা বাসায় থাকতে শুরু করে। সে কারণে অভিমান করে জানালার গ্রিলের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।’ ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, রাতে পাশের রুমের সহপাঠীরা তার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। মৃতের বাবা রিকশাচালক ইউনুছ আলী জানান, রোববার ভোররাতে মেয়ের ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার খবর পেয়েছেন এবং কী কারণে তার মেয়ে আত্মহত্যা করলো, সে বিষয়ে তার কোনো ধারণা নেই। রিমার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার নলবিল পাড়ায়। দুই ভাই, এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন বড়।
এদিকে, গতকাল রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দিনভর ঢাকাতে মেডিকেল টেকনোলজিস্টের এক ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্য নিয়ে প্রচারণা চালানো হয়েছে। ওই মেয়ের নামে রিমা খাতুন পিতার নাম ইউনুচ আলী (প্রবাসী) মার নাম জামিলা খাতুন এবং তার দুই ভায়ের নাম সাগর ও সোহেল। বাড়ি বাসস্ট্যান্ড কিংবা হাসপাতালে আশেপাশে অথবা থানাপাড়ায় হবে। কিন্তু সারাদিনেও খোঁজখবর নিয়ে এই নামে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে রাতে এমন খবর পাওয়া যায় যে ওই মেয়ের পরিবার জীবননগর হাসপাতালের সামনে আনিছুর স্যানেটারির পেছনে ভাড়ায় বসবাস করে। ওই পাড়ার বাসিন্দা গোলাম হোসেন জানান, মেয়েটি মারা গেছে তিনি শুনেছেন। তার মাসহ পরিবারের অন্যান্যরা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। এছাড়া আমার আর বিস্তারিত জানা নেই। ফলে গভীর রাতে এ সর্ম্পকে আর কিছু জানা যায়নি। ছবিতে মেয়েটিকে তার শয়নকক্ষের বেডের ওপর গলায় ওড়না পেচিয়ে বসে থাকা অবস্থাতে দেখা গেছে। ফলে তার মৃত্যু নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে।