আলমডাঙ্গায় হতদরিদ্রদের চিকিৎসার সরকারি টাকায়ও থাবা

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গায় হতদরিদ্র মানুষের দুরারোগ্য অসুখ চিকিৎসার জন্য সমাজসেবা কর্তৃক প্রদান করা প্রধানমন্ত্রী দফতরের আর্থিক সহায়তার টাকায় থাবা পড়েছে। আর্থিক সহয়তাপ্রাপ্ত তিন দরিদ্রের কাছে তাদের প্রাপ্য অর্থের অর্ধেক টাকা দাবি করেছেন আলমডাঙ্গার ডাউকি ইউনিয়নের সাবেক দুই মেম্বার। অর্ধেক অর্থ দাবির ঘটনায় এলাকাসহ আলমডাঙ্গা সমাজসেবা অধিদফতরে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, থ্যালোসেমিয়া ও জন্মগত হৃদরোগে আক্তান্ত গরিব  রোগীদের শনাক্ত করে সমাজসেবা অধিদফতরের জনবল, স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সুধীজনেরা। এই কর্মসূচীর আওতায় আলমডাঙ্গার ডাউকি গ্রামের মতিয়ার রহমানের স্ত্রী ক্যান্সার আক্রান্ত হাসিনা খাতুন, একই গ্রামের নায়েব আলীর স্ত্রী আজিরন নেছা ও মধু বিশ্বাসের নামে ৫০ হাজার করে টাকা বরাদ্দ হয়। গত বুধবার চুয়াডাঙ্গা সমাজসেবা অধিদফতর এই তিনজনের হাতে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেয়। এরপর থেকেই ডাউকি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার খেদ আলী ও সাবেক মহিলা মেম্বার রাশিদা খাতুন চেকপ্রাপ্ত ওই তিন দরিদ্রের বাড়িতে হাজির হন। তারা সমাজসেবা অধিদফতরে নাম দেয়ায় ভূমিকা রেখেছিলো দাবি করে প্রত্যেকের কাছ ২৫ হাজার টাকা দাবি করতে থাকেন। তারা চেকও নিজেদের হাতে নিতে চেষ্টা করেন। চেকের টাকা আলমডাঙ্গা সমাজসেবা অফিসে না দিলে ব্যাংক থেকে টাকা তোলা যাবে না বলেও বারেবার স্মরণ করিয়ে দিতে থাকেন।

এক পর্যায়ে মতিয়ার রহমানের ছেলে হাসিবুল ইসলাম চাঁদা দাবির পুরো দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও ধারণ করতে থাকলে খেদ আলী মেম্বার ও রাশিদা খাতুন দ্রুত সটকে পড়েন।

এ ব্যাপারে খেদ আলী মেম্বারের কাছে মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি বলেন, টাকা চেয়েছি, সাংবাদিকরা যা খুশি লিখুক।

আলমডাঙ্গা সমাজসেবা অফিসার নাজমুল হুসাইন বলেন, দূরারোগ্য রোগে আক্রান্ত দরিদ্রদের জন্য এটা বিশেষ সহায়তা। এই  চেক হস্তান্তরযোগ্য নয়। সহায়তাপ্রাপ্তরা ব্যাংকে ১০ টাকা দিয়ে একাউন্ট খুলে ওই টাকা তুলতে পারবেন। তিনি জানান, কেউ যদি চেকপ্রাপ্তদের কাছে চাঁদা দাবি করে; আমরা অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More