প্রেমিককে হত্যায় প্রেমিকার আমৃত্যু কারাদণ্ড

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় রায়হান হত্যায় ৫ জনের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় প্রেমের জেরে রায়হান (২৬) নামের এক দিনমজুরকে হত্যা মামলায় একজনকে আমৃত্যু ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদ- দেয়া হয়। গতকাল বুধবার দুপুরের দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে দ-প্রাপ্ত আসামিরা উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী। আমৃত্যু কারাদ-প্রাপ্ত আসামি শিখা খাতুন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ভুরকাপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে। যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্ত আসামিরা হলেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ভুরকাপাড়া গ্রামের মৃত জলিল সরদারের ছেলে আব্দুল মান্নান (৬০), মান্নানের ছোট ভাই সাদু সরদার (৪৬), একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সাজুল সরদার, মৃত শওকত সরদারের ছেলে বজলু সরদার ওরফে বজু এবং রাজন আলীর স্ত্রী আজমিরা খাতুন (৩২)। আমৃত্যু ও যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্তদের সবাই ভুরকাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

আদালত সূত্র জানায়, দ-প্রাপ্ত শিখার সঙ্গে ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদহ খন্দকার পাড়া এলাকার মীর শহীদুলের ছেলে রায়হানের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। প্রেমের সম্পর্ক শিখার পরিবার মেনে না নেয়ায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে ২০১৬ সালের ৬ অক্টোবর রাতে রায়হানকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যান শিখা। ওই রাতেই আসামিরা রায়হানকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে হত্যা করে লাশ গুম করে। পরদিন ৭ অক্টোবর ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদহ পালপাড়া থেকে রায়হানের মরদেহ উদ্ধার করে ভেড়ামারা থানা পুলিশ। পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকা-ের ঘটনায় ৯ অক্টোবর নিহতের বাবা মীর শহীদুল আসামিদের বিরুদ্ধে ভেড়ামারা থানায় এজাহার করেন। মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে ১৩ এপ্রিল রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী বলেন, ‘সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে আসামিদের বিরুদ্ধে রায়হান হত্যার অভিযোগ সন্দেহতীতভাবে প্রমাণিত হয়। দীর্ঘ বিচারকার্য শেষে বিজ্ঞ আদালত এ মামলায় শিখা খাতুন নামের এক আসামির আমৃত্যু কারাদ-সহ ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদ-ের আদেশ দিয়েছেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More