চুয়াডাঙ্গায় করোনায় মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে ২৯ : নতুন শনাক্ত ১৯

স্টাফ রিপোর্টার: করোনা আক্রান্ত হয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আসাবুল হক ঠা-ু (৫২) মারা গেছেন (ইন্না.. রাজেউন)। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে ঢাকার পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় করোনা তথা কোভিড-১৯ রোগে মারা গেলেন ২৯ জন। অপরদিকে এদিন চুয়াডাঙ্গার আরও ১৯ জন নতুন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। তবে আক্রান্তদরে মধ্যে সুস্থতার হার বেড়েছে। বৃহস্পতিবার একদিনেই সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন আরও ২৭ জন।
চুয়াডাঙ্গায় বৈশ্বিক মহামারি নোভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। জেলা শহরের প্রায় প্রতিটি মহল্লায় যেমন এ্ই ভয়াবনক ছোঁয়াছে রোগে অক্রান্ত রোগী রয়েছে, তেমনই গ্রাম বাংলাতেও বাড়ছে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা। গতকাল বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ আও ৪৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করেছে। এদিন স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে এসেছে ৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট। এর মধ্যে ১৯ জনের পজিটিভ হয়েছে। নতুন শনাক্ত ১৯ জনের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ৬ জন, দামুড়হুদা উপজেলায় ৩ জন, জীবননগর উপজেলায় ৭ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৩ জন। জীবননগর উপজেলার ৭ জনের মধ্যে ধোপাখালীর ১জন, পোস্ট অফিসপাড়ার ১ জন, বাজারপাড়ার ১জন, মহানগর উত্তরপাড়ার ১জন, শাপালাকলীপাড়ার ১জন, কয়ার ১ জন, আন্দুলবাড়িয়ার ১জন। আলমডাঙ্গা উপজেলার ৩জনের মধ্যে আনন্দধামের ১জন, কোর্টপাড়ার ১জন, হাইরোড পাড়ার ১জন। দামুড়হুদা উপজেলার ৩ জনের মধ্যে গুলশানপাড়ার ১জন, কার্পাসডাঙ্গার ১জন ও পীপপুর কুল্লার একজন। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৬ জনের মধ্যে পৌর কলেজপাড়ার ১জন, বুজরুকগড়গড়ির একজন, কিরণগাছীর ১জন, কোটালীর ১জন, পলাশপাড়ার ১জন ও থানা কাউন্সিলপাড়ার ১জন। এ দিয়ে চুয়াডাঙ্গা মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২শ ৮জন। বৃহস্পতিবার ২৭ জনের সুস্থতা নিয়ে মোট সুস্থ হলেন ৬ শহ ৯৮ জন। অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা আশাবুল হক ঠা-ুর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে জেলা পরিষদের ১নম্বর ওয়ার্ড সদস্য শহিদুল ইসলাম শাহান জানান, আসাবুল হক গত ১৪ আগস্ট করোনার উপসর্গ নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। অবস্থা গুরুতর হলে ১৬ আগস্ট ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। আসাবুল হক আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের বড় বোয়ালিয়া গ্রামের মরহুম সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর সর্বশেষ অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ড ( ভাংবাড়িয়া , হারদী ও কুমারী ইউনিয়ন) থেকে সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এছাড়া তনি হাটবোয়ালিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ছিলেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ সামসুল আবেদীন খোকন এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, পরিষদের বড় ক্ষতি হয়ে গেলো। মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে তিনি শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগ এক শোক বার্তায় বলেছে, দেশ একজন প্রগতিশীল দেশ দরদী মানুষ হারালো। চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি খুস্তার জামিল দুঃখ ভারক্রান্ত কণ্ঠে শোক জানিয়ে বলেন, আসাবুল হক ঠা-ু একজন খুবই ভালো মানুষ ছিলেন। সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেকে সব সময়ই নিবেদিত রাখতেন। তার মতো একজন সহযোদ্ধার এভাবে চলে যাওয়ার কষ্ট সহ্য করাও কঠিন। মহান সৃষ্টি কর্তা তাতে জান্নাত দিক। শোক শন্তুপ্ত পরিবার শোক কাটিয়ে তার রেখে যাওয়া কাজগুলো করার শক্তি অর্জন করুক। এটা আমার অকান্ত চাওয়া।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More