ঢাকায় চিকিৎসাধীন চুয়াডাঙ্গার দু’জনের মৃত্যু : নতুন ৬০ জনের নমুনা সংগ্রহ

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় করোনা উপসর্গে আক্রান্ত নতুন ৬০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে প্রেরণ করা হয়েছে। পুর্বে প্রেরণকৃত ১শ ৫ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট শনিবার (৪ জুলাই) চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে আসেনি। নতুন ৬০ জনের নমুনা দিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে বাকি ১শ ৬৫ জনের। অপরদিকে চুয়াডাঙ্গার দুজন ঢাকায় মারা গেছেন। দুজনেরই কোভিড-১৯ পজিটিভ ছিলো।
চুয়াডাঙ্গায় এ পর্যন্ত নোভেল করোনা ভাইরাস জনিত রোগে তথা কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২শ ৩৯ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছে ১শ ৪৭ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৯ জন। বাড়িতে চিকিৎসাধীন তথা হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ৬৮ জন। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৩ জন। উপসর্গ নিয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হলেও তাদের করোনা নেগেটিভ হয়েছে। দর্শনা পৌর এলাকার বেশ কিছু এলাকা রেডজোন ঘোষণা করে যেমন লকডাউন করে রাখা হয়েছে, তেমনই জীবননগর উপজেলার কিছু এলাকাও লকডাউন। এছাড়া আলমডাঙ্গার হাড়কান্দি গ্রামটিও লকডাউনে। রেডজোন এলাকায় সংক্রমণ রোধে প্রশাসন সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অবশ্য সংশ্লিষ্ঠ এলাকার অনেকেরই অভিযোগ লকডাউন অনেকটাই ঢিলেঢালা। তাছাড়া দমুড়হুদাসহ যেসব এলাকায় হোম আইসলেশনে রয়েছেন করোনা আক্রান্ত রোগী সেই সব এলাকাতেও অনেকে বিভিন্ন অভিযোগ তুলছেন। তবে আক্রান্তদের সাথে যাতে কোনভাবে অমানবিক আচরণ না হয় সেদিকেও লক্ষ্যরাখছে প্রশাসন। বলা হচ্ছে, আক্রান্তদের যেমন বলা হয়েছে, রোগটি ভয়ানক ছোঁয়াছে হওয়ায় যাতে তা না ছড়ায় সেদিকে নজর রাখতে হবে। যারা এ বিষয়ে সচেতন হবেন না তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানানো হচ্ছে। অপরদিকে ঢাকায় মারা যাওয়া দুজনের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের মালোপাড়ার একজন পুরুষ। তিনি কিডনি রোগে ঢাকায় মাসখানেক ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শুক্রবার তার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ হয়। পরে তিনি মারা যান। অপরজন নারী। তিনি দামুড়হুদা উপজেলার পুড়োপাড়া গ্রামের। ঢাকাতেই আক্রান্ত হয়ে ঢাকাতেই মারা গেছেন বলে স্থানীয় স্বাস্থ্যবিভাগসূত্র জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত: চুয়াডাঙ্গার প্রায় ১শ নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। যাদের রিপোর্ট পাওয়া যায়নি তাদের অনেকেরই পুনরায় নমুনা নিয়ে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। পরবর্তিতে পরীক্ষার রিপোর্ট এলেও তাদের পূর্বের পরীক্ষার রিপোর্ট আসেনি। তা আর আসবে বলেও বিশ্বাস নেই। স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তার এরকমই ধারণা।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More