চুয়াডাঙ্গায় মহামারি করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ রূপ : কোভিড ও উপর্স নিয়ে মৃতের সংখ্যা ১৩

হাসপাতালে উপচেপড়া রোগী : সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে রোগী মিলছে ৩৬ দশমিক ৪১ শতাংশ : নতুন শনাক্ত ১৪০  

স্টাফ রিপোর্টার: মহামারি করোনা ভাইরাস চুয়াডাঙ্গায় ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ব্যাপকহারে যেমন সংক্রমিত হচ্ছে, তেমনই একের পর এক মারা যাচ্ছেন করোনা আক্রান্ত রোগী। উপসর্গ নিয়ে মৃতের সংখ্যাও বেড়ে চলেছে হরদম। স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে বাস্তবে মৃতের সংখ্যায় মিলছে না। হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। পরীক্ষায় নেগেটিভ হলেও শ্বাসকষ্ট নিয়ে এক যুবকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে করোনা মাহামরির মধ্যে সোমবার মৃতের সংখ্যা ১৩ জন। অবশ্য এর মধ্যে শনাক্তকৃত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪ জন। হাসপাতালে উপসর্গ নিয়ে ৩ জন। ৪ জন নিজ নিজ বাড়িতে। এদের হাসপাতালে যেমন আনা হয়নি, তেমনই পরীক্ষাও করানো হয়নি।
চুয়াডাঙ্গায় গত এক সপ্তাহ ধরে নুমুনা পরীক্ষা অনুপাতে ৩৬ দশমিক ৪১ শতাংশ। হাসপাতালে উপচেপড়া রোগীর ভিড় বাড়ছে। যেমন হলুদ জোনে, তেমনই রেডজোনে রোগী নিয়ে চিকিৎসকদের হিমশীম খেতে হচ্ছে। গত ৭ দিনে ১৮৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬৭৬ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। সর্বশেষ গতকাল ৩৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৪০ জনের করোনা ভাইরাস পজিটিভ হয়। এদিন চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. আলমগীর হোসেন ও আলমডাঙ্গার চিৎলা ইউপির শুকুর আলী নামের এক সদস্যসহ করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪ জন। এ নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবে মৃতের সংখ্যা ১১৭ জন। এর মধ্যে ১০১ জন চুয়াডাঙ্গায়, বাকি ১৬ জন চুয়াডাঙ্গার বাইরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। উপসর্গ নিয়ে হাসাতালে মারা গেছেন আরও ৩ জন। পরীক্ষা করে করোনা নেগেটিভ হলেও শ্বাসকষ্ট নিয়ে গতরাতে মারা গেছেন ২৫ বছর বয়সী নুহু নবী। তাছাড়া বেশ কিছু এলাকায় ঘরে ঘরে সর্দি কাশি জ্বরে আক্রান্ত রোগী থাকলেও তাদের অনেকেই নমুনা দিয়ে করোনা পরীক্ষা করাতে আগ্রহী হচ্ছে না। এদের কেউ কেউ বাড়িতেই মারা যাচ্ছেন, কারো করো হাসপাতালে নেয়া হলেও উপসর্গ নিয়েই ঝরে যেতে হচ্ছে।
ভারত সীমান্তবর্তি জেলা চুয়াডাঙ্গায় ছড়ানো করোনা ভাইরাস ভারতীয় ধরণ। ডেল্ট নামের এ ধরণ ভয়াবহ সংক্রামক। যেমন সংক্রামক, তেমনই ফুসফুসকে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্থ করে প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে অনেকের। চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ সোমবার নতুন ৩৭২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে প্রেরণ করেছে। এদিন পূর্বের ৩৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে এসেছে। এর মধ্যে ১৪০ জন করোনা ভাইরাস জনিত রোগে ভোগা রোগী শনাক্ত হয়েছে। ১৪০ জনের মধ্যে সদর উপজেলার ৪৪ জন, আলমডাঙ্গার ২১ জন, দামুড়হুদার ১৮ জন ও জীবননগর উপজেলার ৫৭ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট শনাক্ত হলেন ৩৯৪৫ জন। গতকার পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ২৩৪৬ জন। বর্তমানে চুয়াডাঙ্গায় শনাক্তকৃত সক্রিয় রোগীর মধ্যে হাসপাতালে ১৩৮ জন ও বাড়িতে ১৩৪১ জন। চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের ৪২ জন স্বাস্থ্য কর্মী আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন ৭১ জন।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জনসূত্রে উপরোল্লেখিত তথ্য জানা গেলেও বাস্তবে জেলার করোনা ভাইরাসের চিত্র অনেকটা ভিন্ন। জেলায় একের পর এক মানুষ উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেও তাদের অনেকেরই হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে না। এ কারনে বাস্তবের সাথে স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া তথ্য বহুলাংশেই মিলছে না। আলমডাঙ্গার চিৎলা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য ভালাইপুর গ্রামের শুকুর আলী করোনা ভাইরাসে সংকমিত হন। গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে মারা যান। তিনার মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পরিবারের সদস্য, আত্মিয় স্বজন সহ ভালাইপুর মোড়ের ব্যাবসায়ীদের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। বাদ আছর ভালাইপুর ঈদগা মাঠে নামাজে জানাজা শেষে গ্রামের কবরস্থানে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফাতেহ আকরাম জানিয়েছেন, শুকুর আলী বেশ কিছুদিন ধরে সর্দি কাশি জ¦রে ভুগছিলেন। তার নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করে করোনা ভাইরাস পজিটিভ হয়। গত ৩ জুলাই রাত ১১টা ২০ মিনিটে সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। রেডজোনে ভর্তি করে চিকিৎসা চলছিলো। সোমবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটের দিকে তিনি মারা ৬০ বছরের শুকুর আলী। তার মৃতদেহ স্বাস্থ্য বিধি মেনে দাফনের জন্য বলা হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের দোস্ত গ্রামের ফজের আলীর স্ত্রী জামেলা খাতুন সর্দি কাশি জ¦র গায়ে ও গলায় ব্যাথা নিয়ে গত ২৮ জুন রাত ৯টার দিকে সদর হাসপাতালে আসেন। তাকে হলুদ জোনে ভর্তি করা হয়। গতকাল সোমবার র‌্যাপিড এন্টিজেন পরীক্ষায় তার করোনা ভাইরাস পজিটিভ হয়। গতকাল সোমবার বেলা ২টা ২০ মিনিটের দিকে মারা যান ৫৫ বছর বয়সী জামেলা খাতুন। তার মৃতদেহ স্বাস্থ্য বিধি মেনে দাফন করার জন্য নির্দেশনা দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। বেশ কিছুদিন ধরে সর্দি কাশি জ¦রে ভুগছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের হিজলগাড়ির মৃত ফরিদুল ইসলামের ছেলে নুহু নবী। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। পরীক্ষা করে করোনা নেগেটিভ হলেও শ^াসকষ্ট ক্রমশ বাড়তে থাকে। অক্সিজেনও দেয়া হয়। এরপরও শেষ রক্ষা হয়নি। ২৫ বছর বয়সী নুহু নবী গতরাতে মারা গেছেন। দামুড়হুদা উপজেলার সেলিম উদ্দীনের স্ত্রী নূর জাহান বেশ কিছুদিন ধরে করোনা উপসর্গে ভুগছিলেন। গতকাল সোমবার সকাল ৯টার দিকে সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। হলুদ জোনে ভর্তি করে চিকিৎসা চলছিলো। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ৫০ বছর বয়সী নূর জাহান মারা যান। সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার বলেছেন তিনি করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। স্বাস্থ্য বিধি মেনে দাফনের জন্য বলা হয়েছে। আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়ার ভাংবাড়ি গ্রামের খোরশেদ ম-লের স্ত্রী আমিরন নেছা সর্দি কাশি জ¦রে ভুগছিলেন। তাকে গত ২ জুলাই বিকেলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালের হলুদ জোনে ভর্তি করে চিকিৎসা চলছিলো। গতকাল সোমবার রাত ৮টার দিকে তিনি মারা যান। মৃতদেহ স্বাস্থ্য বিধি মেনে দাফনের নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের কোর্টপাড়ার বাসিন্দা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. আলমগীর হোসেন ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সোমবার বিকেলে মারা গেছেন। সংশ্লিষ্টসূত্র জানিয়েছে, অ্যাড ালমগীর হোসেন নমুনা পরীক্ষা করান। ১৩ জুন করোনা পজেটিভ হয়। ১৬ জুন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ১৯ জুন নেয়া হয় ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সোমবার বিকেলে মারা যান। গতকালই তার মৃতদেহ নিয়ে লাশবাহী গাড়ি চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশে রওনা হয়। পরিবারের সদস্যরা আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জান্নাতুল মওলা কবস্থান জামে মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে দাফন কাজ সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, করোনা ভাইরাসের উচ্চ সংক্রামনের ঝুকিতে এখন জীবননগর উপজেলা। প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা ভেঙ্গে রেকর্ড সৃষ্টি করছে। গতকাল সোমবার এ উপজেলায় ৫৩ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এ দিকে করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যে শরীরে জ¦র ও সর্দি-কাশি নিয়ে ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গত রাতে উপজেলার বকু-িয়া গ্রামে এক ঘন্টার ব্যবধানে দুই জনের মৃত্যু হয়। এরা সর্দি-কাশি ও জ¦রে আক্রান্ত ছিলো বলে জানা গেছে। মৃত দুই জন হচ্ছে সিরাজুল ইসলাম ও মফিজুল ইসলাম। মৃত দুই জন জ¦র ও সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হলেও তারা হাসপাতালে এসে চিকিৎসা সেবা নেয়নি বলে জানা গেছে।
আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, করোনা মহামারির মধ্যে গতকাল সোমবার আলমডাঙ্গা উপজেলা ও আশপাশে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরা হলেন – জামজামির মৃত চিনির উদ্দীনের ছেলে অশীতিপরের বৃদ্ধ জহির উদ্দীন, বিনোদপুরের মৃত হানেফ আলী মন্ডলের ছেলে আজিম উদ্দীন (৬৫), ভোদুয়া গ্রামের মৃত আখের মৃধার ছেলে করিম উদ্দীন মৃধা (৬৫), জামজামির পাশের গ্রামের ইবি থানার নৃসিংহপুরের মৃত নফর উদ্দীনের ছেলে সোহরব উদ্দীন (৬০), ওসমানপুর-প্রাগপুর সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস আলী। তিনি ওসমানপুরের পাশের গ্রামের মিরপুর উপজেলার আসাননগর গ্রামের মৃত জোনাব আলী মন্ডলের ছেলে। এছাড়া,গত শনিবার রাতে করোনা উপসর্গ নিয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে আলমডাঙ্গার মাজু গ্রামের আলাউদ্দীনের স্ত্রী চামেলী খাতুন। এদের সকলেই সর্দিজ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভূগছিলেন। আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদীসহ বিভিন্ন গ্রামে ও পৌর এলাকার বন্ডবিলে ব্যাপকভাবে মানুষ সর্দিজ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত। কিন্তু তাদের করোনা পরীক্ষায় রয়েছে অনীহা। এতে যেমন নিজের মৃত্যু ঝুকিবাড়ছে, তেমনই ওদের মাধ্যমে সমাজে রোগ ছড়াচ্ছে। ফলে এদের সচেতন করা জরুরী হয়ে পড়েছে বলে স্থানীয় অনেকেই মন্তব্য করেছেন।
এদিকে গতকাল সোমবার যাদের নমুনা পরীক্ষায় করোনা ভাইরাস পজিটিভ হয়েছে তাদের মধ্যে সদর উপজেলার ৪৪ জনের মধ্যে ৪১ জন সম্পর্কে বিস্তারিত পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে কেদারগঞ্জে ৩ জন, দৌলাতদিয়াড়ের ২ জন, গোরস্তানপাড়ার ২ জন, থানা কাউন্সিল পাড়ার ২ জন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুজন, আরামপাড়ার দুজন ভুলটিয়ার দুজন, নেহলপুরের দুজন করে রয়েছেন। এছাড়া যেসব এলাকার একজন করে রোগী সোমবার শনাক্ত হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে তালতলা, আলুকদিয়া, বড়বাজার, বালিয়াকান্দি, পশুহাটপাড়া, জি¦নতলাপাড়া, কুলচারা, পলাশপাড়া, হাসপাতালপাড়া, কোটালি, বেগমপুর, পুরাতন হাসপাতালপাড়া, বোয়ালিয়া, ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ডপাড়া, কলোনীপাড়া, ফার্মপাড়া, হাতিকাটা, শেখপাড়া, কোর্টপাড়া, দশমী, শ্মশানপাড়ায়। আলমডাঙ্গার ২১ জনের মধ্যে ১৬ জন শনাক্তকৃত রোগীর বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে এর মধ্যে মুন্সিগঞ্জেই ৪ জন, বাবুপাড়ার দুজন। এ ছাড়া একজন করে যেসব এলাকায় রোগী শনাক্ত হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে হাপানিয়া, বকশিপুর, ভদুয়া, কামালপুর, কালীদাসপুর, গোবিন্দপুর, ভাংবাড়িয়া, ঘোষবিলা, বাশঁবাড়িয়া, ভেদামারি। দামুড়হুদা উপজেলার ১৮ জনের মধ্যে ৬ জনের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে, এদের মধ্যে ছোটদুধপাতিলা, মজলিশপুর, দামুড়হুদা, কুড়–লগাছি, কালিয়া বকরি, ভগিরথপুর। জীবননগর উপজেলার ৫৭ জনের মধ্যে ২৯ জনের বিস্তারিত জানা গেছে এর মধ্যে হাসাদহেই ৮ জন। খয়েরহুদায় দুজন, হাইস্কুলপাড়ায় দুজন, পুরন্দপুর ২ জন, উথলী দুজন, পনের স্বতীপাড়া দুজন, এছাড়াও একজন করে রয়েছেন বৈদ্যনাথপুর, মাধবপুর, কন্ধবপুর, শ্রীরামপুর, মৃগমারী, জীবননগর, পাথিলা, মাধবখালী, ঘোষনগর ও মহেশপুরের তেলটুপিতে।
গত রোববার যে ১৫২ জন রোগী করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন তার মধ্যে সদর উপজেলার গুলশানপাড়াতেই ৯ জন, পলাশপাড়ার ৪ জন, হাসপাতাল পাড়ার ৩ জন, দক্ষিণ হাসপাতালপাড়ার ৩ জন , ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ডপাড়ার ৩ জন, কুতুবপুরে ৩ জন, গোস্টবিহারে ৩ জন, মহিলা কলেজপাড়র ২ জন, ইসলামপাড়ার ২ জন, বড়বাজারপাড়ার ২ জন, বেগমপুর দুজন, বেলকান্দির দুজন, মাখালডাঙ্গার দুজন, হিজলগাড়ির দুজন, এছাড়াও নূরনগর, বেলগাছি, ফার্মপাড়া, জোয়ার্দ্দারপাড়া, সিঅ্যান্ডবিপাড়া, বাগানপাড়া, শেখপাড়া, সিনেমাহলপাড়া, থানা কাউন্সিলপাড়া, ঈদগাপাড়া, রেলবাজারপাড়া, পৌর কলেজপাড়া, মাঝেরপাড়া, পোষ্ট অফিসপাড়া, জেলা কারাগার, কুলচারা, শহরতলী দৌলাতদিয়াড়, খাদিমপুর, আলকুদিয়া,গাইদঘাট, দোস্ত, পরশপুর, বলদিয়া, ট্যাকপাড়া, বড় শলুয়া, ও মনিরামপুরে একজন করে রোগী শনাক্ত হয়। এছাড়াও চুয়াডাঙ্গায় নমুনা দিয়ে পরীক্ষা করানো ঝিনাইদহের নওদাপাড়ার একজন। মেহেরপুর জেলার বাড়াদীর একজন ও গাংনী দাসপাড়ার একজন চুয়াডাঙ্গায় নমুনা দিয়ে পরীক্ষা করিয়েছেন। এ দুজনেরও করোনা পজিটিভ হয়েছে। আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদীর ৩ জন, আসাননগরের ৩ জন করে রোগী রোববার শনাক্ত হয়। এ ছাড়াও ওইদিন একজন করে রোগী শনাক্ত হয়েছে আলমডাঙ্গা, কলেজপাড়া, মিনাপাড়া, কালীদাসপুর, ভদুয়া, নাগদাহ, ডামশ, লক্ষ্মীপুর, বৈদ্যনাথপুর, স্টেশনপাড়া, আমতৈল, বন্ডবিল, কুমারী, ভাংবাড়ি, হাটবোয়ালিয়া। দামুড়হুদা উপজেলায় দামুড়হুদা সদরে ৪ জন, দর্শনা শহরে ৩ জন, কেশবপুর, হাতিভাঙ্গা, আরামডাঙ্গা, বলিয়ারপুর, লক্ষ্মীপুর, লোকনাথপুর, মজলিশপুর, কাদীপুর, দশমীপাড়া ও চ-িপুরে একজন করে রোগী রোববার শনাক্ত হয়। জীবননগর উপজেলার ইসলামপুরে ৪ জন, কাশিপুরের ৪ জন, খয়েরহুদায় ৩ জন, থানাপাড়া ২ জন জীবননগর শহরের দুজন, মিনহাজপুরে দুজন, পান্তপাড়ায় ২ জন, আন্দুলবাড়িয়া ২ জন করে রোগী শনাক্ত হয়। এ ছাড়া একজন করে যেসব এলাকায় রোববার রোগী শনাক্ত হয় তার মধ্যে রয়েছে মেদেনীপুর, ধোপাখালি, চন্দ্রপাড়া, আশতলাপাড়া, কাজিপাড়া, বস্তিপাড়া, তেঁতুলিয়া, বৈদ্যনাথপুর, সুটিয়া, পাথিলা, গোয়ালপাড়া, হাসাদহ, গোপালনগর, উথলী, সেনেরহুদায়। এছাড়াও মহেশরপুরের শ্যামকুড়ের ৫ জন জীবননগরে নমুনা দেন। এদের ৫ জনেরই করোনা পজিটিভ হয়েছে। এছাড়াও একই উপজেলার ন্যাপার ১ জন, তুলশিপাড়ার ১ জনের করোনা পজিটিভ হয়েছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More