চুয়াডাঙ্গায় ২০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৯ জন শনাক্ত
সারাদেশে করোনা ভাইরাসে আরও ৩৫ জনের মৃত্যু : ৩৯০৮ কোভিড-১৯ পজেটিভ
স্টাফ রিপোর্টার: নোভেল করোনা ভাইরাস চুয়াডাঙ্গায় ভয়াবহ আকারে ছড়াতে শুরু করেছে। গতকাল রোববার ২০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৯ জনের কোভিড-১৯ পজেটিভ হয়েছে। নতুন আক্রান্ত ৯ জনের মধ্যে একজন দামুড়হুদা উপজেলার বাকি ৮ জনই চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের বাসিন্দা। গতপরশু শনিবার আরও ৫ জন করোনা ভাইরাস আক্রন্ত রোগী শনাক্ত হয়।
গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে ৩১ জন আইসোলেশনে ছিলেন। এর মধ্যে ৭ জন হাসপাতালে, ২৩ জন নিজেদের বাড়িতে ও একজন ঢাকায়। অপরদিকে দেশে গতকাল রোববার ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৫ জন মারা গেছেন। শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৯০৮ জন। দেশে করোনায় ৮ হাজার ৯০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গার ৫১ জন। গতকাল রোববার স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৯০৮ জন। এ নিয়ে ৫ লাখ ৯৫ হাজার ৭১৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হলো দেশে। করোনায় আক্রান্ত বাড়িতে বা বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২ হাজার ১৯ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৯৪১ জন হয়েছে। এদিকে চুয়াডাঙ্গায় গতকাল রোববার যে ৯ জন শনাক্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তালতলার একজন, ডিহির একজন, ডিঙ্গেদহের দুজন, জেলা শহরের মাঝেরপাড়ার একজন, দক্ষিণ হাসপাতালপাড়ার একজন, বোয়ালিয়ার একজন, পোস্ট অফিসপাড়ার একজন ও দামুড়হুদা উপজেলার পুরাতন বাজারপাড়ার একজন রয়েছেন। গতপরশু শনিবার যে ৫ জন শনাক্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের আরামপাড়ার একজন, দামুড়হুদার পুরাতন বাজারপাড়ার একজন, জীবননগর সন্তোষপুরের একজন, আলমডাঙ্গার রুইথনপুরের একজন ও বালিয়াকান্দির একজন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭০৪ জন। গতকাল পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৬২২ জন। মারা গেছেন ৫১ জন। গতকাল রোববার নতুন আরও ২৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট ল্যাবে প্রেরণ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
প্রসঙ্গত: সারা বিশে^ই করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বেড়েছে। আমাদের দেশেও লেগেছে দ্বিতীয় ডেউ। ফলে সকলকে বাড়ির বাইরে বের হলে মাস্ক পরাসহ হাটে বাজারে রাস্তাঘাটে সামাজিক দূরুত্ব বজায় তথা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য পুনঃ পুনঃ অনুরোধ জানানো হচ্ছে। এরপরও এতে তেমন সাড়া মিলছে না। অথচ ভাইরাস চক্রবৃদ্ধিহারে ছড়াচ্ছে।