চুয়াডাঙ্গা উপশম নার্সিং হোমে ডাক্তার ছাড়াই হচ্ছিলো ডেলিভারি, নবজাতকের মৃত্যুতে ক্লিনিক ভাঙচুর

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সড়কে অবস্থিত উপশম নার্সিং হোম ক্লিনিকে চিকিৎসকের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এতে রোগী ও স্বজনেরা ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন। এ সময় বহিরাগতরা ক্লিনিকের মূল ফটকের গেইট ভাঙচুর করেছে বলে জানা গেছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপশম নার্সিং হোম ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে ক্লিনিক ভাঙচুরকারী একজনকে পুলিশ আটক করে থানা হেফাজতে নেয়।

জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঝিনাইদহ জেলার মধুপুর গ্রামের শ্রী সুফল রায়ের সাড়ে ৮মাসের গর্ভবতী স্ত্রী সুবর্ণা রায়কে উপশম নার্সিং হোম ক্লিনিকে ভর্তি করেন।

সুবর্ণা রায়ের স্বামী শ্রী সুফল রায় বলেন, দুপুরের দিকে আমি ক্লিনিকের বাইরে ছিলাম। এ সময় আমাকে মোবাইলে জানানো হলো আমার স্ত্রীর পেইন (ব্যথা) হচ্ছে। নরমাল ডেলিভারির জন্য অপারেশন থিয়েটারে নেন দুই নার্স। সেখানে কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। আমাদের নিকট কোন স্টেটমেন্টও নেননি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। পরে নবজাতকের দুই পা বের হলেও বাকি অংশ বের করতে পারছিলেন না নার্সরা। পরে আমাদের জানানো হয় সন্তান মারা গেছে। এরপরও প্রতিষ্ঠানের মালিক ডা. জিন্নাত আরা ও তার বোন চৈতীকে ডাকলেও তারা আসেননি। প্রায় ১ ঘণ্টা পর ডা. চৈতী আসলে তিনি ব্যর্থ হন। এর আধাঘণ্টা পর ডা. জিন্নাত আরা এসে মৃত নবজাতকটি মায়ের গর্ভ থেকে বের করেন। তিনি আরও বলেন, সকালেও আল্ট্রাসনো করেছেন ডা. জিন্নাত আরার স্বামী। তিনি বাচ্চার অবস্থা ভালো আছে বলে জানান। তবে এখন ডা. জিন্নাত আরা বলছেন নবজাতক মায়ের গর্ভে উল্টিয়ে ছিলো। এই বিষয়টি জানানো হয়নি আগে। ডেলিভারির সময় যদি চিকিৎসক থাকতেন; তাহলে এমন ঘটনা ঘটতো না। চিকিৎসকের অবহেলার জন্যেই আমার সন্তান মারা গেলো।

ক্লিনিক ভাঙচুরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কারা ক্লিনিক ভাঙচুর করেছে এটা আমার জানা নেই।

এদিকে খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি মাহাব্বুর রহমান ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এ সময় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের নিকট চাঁদা দাবির অভিযোগ তুলে ক্লিনিক ভাঙচুরকারী একজনকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয় পুলিশ। তবে আটককারীর নাম জানা যায়নি।

ডা. জিন্নাতুল আরার ছেলে সদর হাসপাতালে জুনিয়র কনসাল্টেন্ট (সার্জারি) ডা. এহসানুল হক তন্ময়ের মোবাইলফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান বলেন, দুইপক্ষের কোনো পক্ষই কোনো অভিযোগ করেনি। বিষয়টি উভয়পক্ষই ভুল বোঝাবুঝি বলে উল্লেখ করে নিজেরা সমাধান করে নেয়।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More