তিনদিনেই শেষ টিসিবির পণ্য : চুয়াডাঙ্গায় বিক্রি বন্ধ

খাদ্যপণ্য হাতে পেলেই আবারও কার্ডের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় সঙ্কট দেখা দিয়েছে টিসিবির খাদ্যপণ্যে। ফলে তিনদিনের মাথায় বন্ধ করা হয়েছে পণ্য বিক্রি। গতকাল বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় বিক্রি বন্ধ করা হলেও পণ্য সংকটের কারণে গত বুধবারই বন্ধ হয়ে যায় ইউনিয়ন পর্যায়ে টিসিবির খাদ্যপণ্য বিক্রি কার্যক্রম। গুদামে পণ্য না থাকায় সদর উপজেলার পদ্মবিলা, তিতুহদ ও বেগমপুর ইউনিয়নে বন্ধ রাখা হয় কার্যক্রম। তবে খাদ্যপণ্য হাতে পেলেই আবারও ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

জানা গেছে, পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গায় নিম্নআয়ের মানুষের মাঝে টিসিবির পণ্যসামগ্রী বিক্রি কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় গত ২০ মার্চ রোববার। ওইদিন সকালে চুয়াডাঙ্গা ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ কার্যক্রম শুরু হয়।

চুয়াডাঙ্গার চার উপজেলার ৭৪ হাজার ৫৫৬ পরিবারকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) খাদ্যপণ্য পাওয়ার কথা রয়েছে। প্রথম দফায় জনপ্রতি ছয় কেজি ও দ্বিতীয় দফায় আট কেজি মিলিয়ে মোট ১৪ কেজি খাদ্যপণ্য দেওয়া হয়। এসব পণ্যের মধ্যে ছিল দুই কেজি সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল ও দুই কেজি চিনি। দ্বিতীয় দফায় দুই কেজি ছোলাও দেওয়া হয়। টিসিবির এ কার্যক্রমে তেল ১১০ টাকা, ডাল ৬৫ টাকা ও চিনি ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়। ইতিমধ্যে টিসিবির পণ্য দেওয়ার জন্য অসচ্ছল পরিবারের তালিকা তৈরির কাজ শেষে করে তিন দিনে তাদের মধ্যে অন্তত ১২ হাজার জনকে খাদ্যপণ্য দেওয়া হয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, টিসিবি থেকে আসা খাদ্যপণ্য চুয়াডাঙ্গার খাদ্যগুদামে সংরক্ষণে রাখা হয়। সেখান থেকে ট্রাকযোগে নির্ধারিত স্থানে পৌঁছুনো হয়। গুদামের ধারণক্ষমতা কম হওয়ায় তুলনামূলক কম পরিমাণে খাদ্যপণ্য নিয়ে আসা হয়। গত বুধবার থেকে ওই গুদামে খাদ্যপণ্য কম থাকায় হাতে গোনা কয়েকটি স্থান ছাড়া সব স্থানে খাদ্যপণ্য বিক্রয় বন্ধ রাখা হয়। তবে বন্ধ থাকা এসব স্থানে আবার কবে নাগাদ খাদ্যপণ্য বিক্রয় শুরু হবে তা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা দিতে পারেনি তিনি।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম ভূইয়া জানান, খাদ্য সংকটের কারণে সাময়িকভাবে কয়েকটি ইউনিয়নে বন্ধ রাখা হয়েছে টিসিবির কার্যক্রম। বৃহস্পতিবারও ইউনিয়ন এবং পৌরসভা পর্যায়ে বন্ধ রাখা হয়। খাদ্যপণ্য হাতে পেলেই ওই সব স্থানে আবার বিক্রি কার্যক্রম শুরু হবে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More