দামুড়হুদায় স্টার গোল্ড ইলেকট্রনিক্সের প্রতারণার জাল : শাকিল গ্রেফতার

: মুলহোতা নাসিরকে খুঁজছে পুলিশ

দর্শনা অফিস: হঠাৎ গজিয়ে ওঠা স্টার গোল্ড ইলেকট্রনিক্সের মালিকসহ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উঠেছে বিস্তর অভিযোগ। প্রতারণাসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক নাসির আত্মগোপনে থাকলেও ফেঁসে যাচ্ছেন ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। চেক জালিয়াতি মামলায় দর্শনা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে স্টার গোল্ডের সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাকিল আহমেদ। শাকিলকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। নাসিরকে গ্রেফতারে অবলম্বন করা হয়েছে কৌশল। বিস্তার করেছে জাল। অল্পদিনেই সে জালে আটকে যেতে পারে নাসির।
গত বছরের শুরুতে দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হঠাৎ করেই রাতারাতি গজিয়ে ওঠে স্টার গোল্ড ইলেকট্রনিক্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রনিক্স পণ্য সামগ্রী না থাকলেও জনগণের আস্থা অর্জনে প্রতারণার ফাঁদ পাতে। স্টার গোল্ডের পক্ষ থেকে প্রত্তন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে শুরু করে শহর এলাকার শীতার্ত দরিদ্রদের মাঝে কম্বল বিতরণের যেনো হিড়িক ফেলে দেয়। অল্পদিনেই প্রতিষ্ঠান নাম ছড়িয়ে পড়লে চাকরির হুমড়ি খেয়ে পড়ে বেকার শিক্ষিত যুবকরা। শুরু হয় প্রতারণার কৌশল অবলম্বন। বহু যুবক চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে হাতাতে শুরু করে প্রচুর অর্থ। প্রতিষ্ঠানের মূল হোতা দর্শনা পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের দাউদ আলীর ছেলে নাসির উদ্দিনসহ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা ও থানায় যেনো অভিযোগের পাহাড়ে পরিণত হয়। কৌশলে আত্মগোপনে চলে যান নাসির উদ্দিন। ফেঁসে যেতে থাকেন কথিত স্টার গোল্ডের বিভিন্ন নামধারী পদস্থরা। এরই মধ্যে চুয়াডাঙ্গার দৌলতদিয়াড়ের রণি কম্বল হাউজের মালিক রণি মিয়ার কাছ থেকে কয়েক দফায় কম্বল নেয় নাসির ও শাকিল। জনতা ব্যাংকের হিসাব নাম্বারে নাসির উদ্দিন ১ লাখ ৮ হাজার ও পারকৃষ্ণপুরের সোহরাব হোসেনের ছেলে ওই প্রতিষ্ঠানের সহকারী পরিচালক শাকিল আহম্মেদ ইসলামী ব্যাংকের হিসাব নাম্বারে ৫৮ হাজার টাকার চেক দেয় রণি কম্বল হাউজে। পরে দুটি ব্যাংকে গিয়ে দেখতে পান তাদের এ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই। মোবাইল ফোনে টাকা চাইলে নাসির ও শাকিল তালবাহানা করেন। এক পর্যায়ে গত বছরের জুন মাসে আদালতে নাসির ও শাকিলের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেন রণি মিয়া। এ মামলায় গত পরশু সোমবার আদালতে হাজির দিতে গেলে বিজ্ঞ বিচারক নাসির উদ্দিনের বাবা দাউদ আলীর জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ এএইচএম লুতফুল কবীরের নির্দেশে থানার এএসআই শাহীন আলম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে দর্শনা মেমনগর মোড় থেকে শাকিলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ নাসিরসহ ঘটনার সাথে জড়িতেদের তথ্য উৎঘাটনে রাতেই শাকিলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আহমেদ বিশ্বাস জানান, শাকিলের কাছ থেকে বেশকিছু তথ্য পাওয়া গেছে। স্টার গোল্ডের হোতা নাসিরসহ তার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে তথ্য গোপন রাখা হচ্ছে। তবে নাসিরকে গ্রেফতারে আমরা জাল বিস্তার করেছি। অচিরেই ওই জালে আটক হবে নাসির। তিনি আরো জানান নাসির ও শাকিলের বিরুদ্ধে চাকরির নামে টাকা হাতিয়ে নেয়াসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More