নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সংস্কার : গাংনী হাসপাতাল ভবনের সংস্কার কাজ বন্ধ করে দিলেন এমপি খোকন

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরাতন ভবনের সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন। গতকাল বুধবার দুপুরে তিনি সরেজমিনে সংস্কার কাজ পরিদর্শনে গিয়ে বন্ধের নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, বছর পাঁচেক আগে স্বাস্থ কমপ্লেক্সের পুরাতন ভবনটি বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়লে নতুন ভবনের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম শুরু হয়। তারপরও স্থান সাংকুলান না হওয়ায় করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ড ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কার্যক্রম ভবনটিতে চলতে থাকে। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর (হীড) পুরাতন ভবনটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। সে অনুযায়ী চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে পুরাতন ভবন সংস্কার বাবদ বরাদ্দ দেয় ৩৫ লাখ ৭২ হাজার ৩১১ টাকা। কাজ শুরু হয় ২৯ এপ্রিল। নিয়োগকৃত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান খুলনার দৌলতপুরের রাজীব মোটরস সংস্কার কাজটি বাস্তবায়ন করছে।
দরপত্রের কার্যাদেশ অনুযায়ী এ গ্রেডের টাইল্স, ফ্রেশ সিমেন্ট ও ১.৫ এফএম বালু ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার আর দেখভালে দায়িত্বশীল কর্মকর্তার অনুপস্থিতির মধ্য দিয়ে সংস্কার কাজ এগিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কার্যাদেশ উপেক্ষা করে সংস্কার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে নি¤œমানের এসব সামগ্রী। তাছাড়া বালু ও সিমেন্টের সংমিশ্রণ সঠিক মাত্রায় করা হচ্ছে না। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য সাহিদুজ্জামান খোকন পরিদর্শন করেন। নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার ও অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ায় কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে বলে জানান এমপি। পরিদর্শনের সময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আহম্মেদ রায়হান শরীফ ও হাসপাতালের অন্যান্যা কর্মকর্তাবৃন্দ। তবে কাজের সাইডে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল কাউকে পাওয়া যায়নি। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ উপস্থিত ছিলেন না। ঠিকদারী প্রতিষ্ঠান শ্রমিক দিয়ে ইচ্ছেমতো সংস্কার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তদারকির কেউ উপস্থিত না থাকায় নি¤œমানের এসব সামগ্রী ব্যবহার করছে খুব সহজেই।
স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাসান আল মামুনের মোবাইলে কল দিয়ে অনিয়মের বিষয়টি জানতে চান সাংবাদিকরা। কাজের প্রাক্কলিত ব্যায়সহ দরপত্রের কোনো তথ্য নেই বলে কৌশলে এড়িয়ে যান তিনি।
স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের সহাকারী প্রকৌশলী মাহমুদ আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি জরুরী মিটিংয়ে আছি পরে কথা হবে।
এদিকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দ্বায়িত্বপ্রাপ্তদের সাথে কথা বলতে যোগাযোগ করেও কাউকে পাওয়া যায়নি।
এ প্রসঙ্গে মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন এমপি বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্নভাবে অনিয়ম করে আসছে। বালু, টাইলস থেকে শুরু করে প্রায় সব উপকরণ নি¤œমানের। নি¤œমানের সাগ্রমী কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না। তাই এ অনিয়মের সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দায়িত্বশীল দফতরে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More