মেহেরপুর গাংনীর আলোচিত বাদিউজ্জামান বদি গুম মামলা
মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর গাংনীর আলোচিত বদিউজ্জামান বদি গুম মামলায় পৌরমেয়র আশরাফুল ইসলামসহ ১২ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছে জেলা আদালত। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রিপতি কুমার বিশ্বাস এ মামলায় ১১ আসামির সবাইকে বেকসুর খালাস দেন। বদিউজ্জামান বদি পৌর এলাকার পূর্ব মালসাদহ গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি আব্দুর রহমানের ছেলে বাবুল প্রয়োজনীয় কথা আছে বলে বদিউজ্জামান বদিকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মারধর করা হয় বলে জানানো হয়। পরে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়। পরে ২০১২ সালের ২১ এপ্রিল ঢাকা থেকে বাড়ি আসার পর একই সালের ২২ এপ্রিল বদি গাংনীতে আসে। এরপর তার বাড়িতে খবর দেয়া হয় তাকে র্যাব ক্যাম্পে নেয়া হয়েছে। ওই ঘটনার পর থেকে বদি নিখোঁজ হন। এ ব্যাপারে বদির ভাই রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে বাঃ দঃ ৩২৫/৩৬৪ (পেনাল কোড) ধারাই গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১২। জি আর কেস নং-২৮৭/১৮, সেশন ৯/১৩। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাংনী থানার এসআই নারায়ণ চন্দ্র ঘোষ মামলা প্রাথমিক তদন্ত শেষে গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলামসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় মোট ১২ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। এতে আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত তাদের প্রত্যেককে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
মামলার শুনানী শেষে দীর্ঘ ৮ বছর পর এ মামলায় রায় প্রদান করা হলে সকল আসামিকে বেকসুর খালাস দেন বিজ্ঞ আদালত। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি কাজি শহীদ এবং আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট খন্দকার আব্দুল মতিন কৌশুলী ছিলেন। রায় ঘোষণার পর আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় পৌরমেয়র বলেন, সত্যের জয় হয়েছে। আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি। আমি যদি পাপ করতাম তাহলে আল্লাহ্তালার পক্ষ থেকে শাস্তি পেতাম। এটি একটি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা।