প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন : প্রচার-প্রচারণায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা

চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচন

রফিকুল ইসলাম: চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা ১০টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রার্থীদের মাঝে এ প্রতীক তুলে দেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। এ সময় জেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী নির্বাচন কর্মকর্তা তারেক আহম্মেদ, এনএসআই উপ-পরিচালক জিএম জামিল সিদ্দিক এবং প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩জন, চার সদস্য পদে ১৬জন প্রার্থী এবং দুই সংরক্ষিত সদস্য পদে ১০জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে সংরক্ষিত ১নং ওয়ার্ডে (চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা) হরিণ নিয়ে লটারি অনুষ্ঠিত হয় এবং সংরক্ষিত ২নং ওয়ার্ডে (দামুড়হুদা-জীবননগর) ফুটবল প্রতীক নিয়ে লটারি অনুষ্ঠিত হয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও সাবেক প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজু  (মোটর সাইকেল), স্বতন্ত্র প্রার্থী আরেফিন আলম রনজু (ঘোড়া) এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি আব্দুস সালাম (চশমা) প্রতীক পেয়েছেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে  সদস্য পদে ১নং ওয়ার্ডের (চুয়াডাঙ্গা সদর) প্রার্থী চুয়াডাঙ্গা শহরের পুরাতন হাসপাতাল পাড়ার শহিদুল ইসলাম সাহান (তালা), নীলমনিগঞ্জ গ্রামের মাফলুকাতুর রহমান (হাতি), শ্রীকোল গ্রামের জহুরুল ইসলাম (বৈদ্যুতিক পাখা) ও ধুতুরহাটের আব্দুর রউফ (টিউবওয়েল) প্রতীক পেয়েছেন। সংরক্ষিত সদস্য পদে ১নং ওয়ার্ডে (চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গা) প্রার্থী আলমডাঙ্গার বগাদী গ্রামের কাজল রেখা (বই), শিবপুর গ্রামের মনিরা খাতুন (ফুটবল), এরশাদপুরের সামশাদ রানু (হরিণ), জাহাপুরের বিথী খাতুন (টেবিলঘড়ি) ও বোয়ালিয়া গ্রামের হাসিনা খাতুন মাইক প্রতীক পেয়েছেন। ২নং ওয়ার্ডের (আলমডাঙ্গা উপজেলা)  সদস্য পদে প্রার্থী মুন্সিগঞ্জের খলিলুর রহমান (বৈদ্যুতিক পাখা), আলমডাঙ্গার বলেশ্বরপুরের আলতাব হোসেন (হাতি), বৈদ্যনাথপুরের মিজানুর রহমান (টিউবওয়েল), পোয়ামারী গ্রামের মজনু রহমান (তালা), এরশাদপুরের জাফর উল্লাহ (ঘুড়ি) এবং মধুপুরের তপন কুমার বিশ্বাস (উটপাখি) প্রতীক পেয়েছেন। সংরক্ষিত সদস্য পদে ২নং ওয়ার্ডে (দামুড়হুদা ও জীবননগর) প্রার্থী জীবননগরের শিরিনা পারভিন (হরিণ), জীবননগরের কহিনুর বেগম (বই), জীবননগরের সোনাদাহ গ্রামের নাহার বানু (ফুটবল), দামুড়হুদার দলিয়ারপুর গ্রামের আদুরী খাতুন (দোয়াত কলম) ও পীরপুরকুল্লা গ্রামের ইয়াসমিন খাতুন দেয়াল মাইক প্রতীক পেয়েছেন। ৩নং ওয়ার্ডে (দামুড়হুদা উপজেলা) সদস্য পদে প্রার্থী দশমী গ্রামের শফিউল কবির (টিউবওয়েল), হরিশচন্দ্রপুরের লস্কর আলী (তালা) ও সড়াবাড়িয়া গ্রামের অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম (বৈদ্যুতিক পাখা) প্রতীক পেয়েছেন। ৪নং ওয়াডের্র সদস্য পদে (জীবননগর উপজেলা) প্রার্থী জীবননগরের আলীপুরের মিতা খাতুন (টিউবওয়েল), গঙ্গাদাসপুরের মোসাবুল ইসলাম লিটন হাতি ও হাসাদহ গ্রামের কবির আহম্মদ তালা প্রতীক পেয়েছেন।

এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, নির্বাচনে জয়-পরাজয় থাকবেই। সাতজন নির্বাচিত হবেন। বাকীরা পরাজিত হবেন। জয়-পরাজয় বিষয় না। জয়-পরাজয়ের চেয়ে মিলেমিশে থাকবেন। পদের বাইরে থেকেও কাজ করতে পারবেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তারেক আহম্মেদ বলেন, নির্বাচনে মাইক ব্যবহার করা যাবে না। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট করেন। মিছিল মিটিং করা যাবে না। মিছিল ও শোডাউন করা যাবে না। মোটর সাইকেল শোডাউন করা যাবে না। আচরণবিধি মেনে চলবেন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫০ হাজার টাকা হাতখরচ এবং ৫ লাখ টাকা নির্বাচনের কাজে ব্যয় করতে পারবেন। সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য পদে হাতখরচ ১০ হাজার টাকা এবং নির্বাচনে ১ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন।

প্রসঙ্গত : আগামী ১৭ অক্টোবর ইভিএমএ ভোটগ্রহণ করা হবে। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হবে। চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একজন, সদস্য পদে চারজন এবং সংরক্ষিত সদস্য (মহিলা) পদে দুইজন নির্বাচিত হবেন। স্থানীয় সরকারের পৌরসভার মেয়র-কাউন্সিলরবৃন্দ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানদ্বয়, এবং ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দ নির্বাচিত ৫৬৫ জন জনপ্রতিনিধি ভোট প্রদান করবেন। সদর উপজেলায় ১১৯ ভোট, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ২১১ ভোট, দামুড়হুদা উপজেলায় ১১৮ ভোট এবং জীবননগর উপজেলায় ১১৭ ভোট রয়েছে। চারটি ভোট কেন্দ্র হলো চুয়াডাঙ্গা সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, দামুড়হুদা আব্দুল ওদুদ শাহ্ ডিগ্রি কলেজ ও জীবননগর থানা মডেল বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More