মেহেরপুর অফিস: করোনা সংক্রমণে প্রতিদিন মেহেরপুরে মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন মুখ। লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। দিনে দিনে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গেলো ২৪ ঘণ্টায় মেহেরপুর জেলায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত ৩জন রোগী মারা গেছেন। এদের মধ্যে একজন মেহেরপুর সদর, একজন গাংনী ও অপর একজন চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বাসিন্দা। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৫ জন। আক্রান্তের হার শতকরা ৩২.৩২ ভাগ। এ পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ৭১ জন। আর আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৬৯৭ জন। এতে মেহেরপুরে সচেতন মানুষের মাঝে বাড়ছে উদ্বেগ উৎকন্ঠা। মেহেরপুরের লকডাউন কঠোরভাবে পালনে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। সাথে যোগ হয়েছে র্যাব, সেনা সদস্য ও বিজিবি। গতকাল সোমবার জেলা ও উপজেলা শহরে সফলভাবে লকডাউন পালিত হয়েছে। তবে গ্রামে সফলভাবে লকডাউন পালিত হচ্ছে না বলে অনেকে দাবি করেছেন।
গেল ২৪ ঘন্টায় করোনার উপসর্গ নিয়ে মেহেরপুর জেলায় নতুন করে ৩ জন মারা গেছেন। এরা হলেন- মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের হান্ডারের স্ত্রী রশিদা খাতুন (৬০), গাংনী উপজেলার গাড়াডোব গ্রামের আফতাব উদ্দিনের ছেলে আকবর আলী (৬৫)। এরা করোনার উপসর্গ নিয়ে কয়দিন আগে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় মেহেরপুর জেলায় নতুন করে ৭৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে মেহেরপুর সদর উপজেলায় ৩৩ জন, গাংনী উপজেলায় ৩৫ জন ও মুজিবনগর উপজেলায় ৭ জন রয়েছেন। এনিয়ে বর্তমানে জেলায় মোট করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬৯৭ জন। গতকাল সোমবার রাতে সিভিল সার্জন ডা. মো. নাসির উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মেহেরপুর সিভিল সার্জন অফিস থেকে আরো জানা যায়, কুষ্টিয়া ল্যাব থেকে ২৩২টি নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৭৫ জন করোনা রোগী চিহ্নিত হয়েছেন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন মোট ৬৯৭ জন করোনা রোগীর মধ্যে সদর উপজেলার বাসিন্দা ২৫৩ জন, গাংনী উপজেলার বাসিন্দা ৩২৯ জন ও মুজিবনগর উপজেলার বাসিন্দা ১১৫ জন। এছাড়া ট্রান্সফার্ড হয়েছেন ১১৫ জন। এদের মধ্যে সদর উপজেলার ৭৩ জন, গাংনী উপজেলার ১৭ জন ও মুজিবনগর উপজেলার ২৫ জন রয়েছেন। এছাড়া এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক হাজার ৩৬৭ জন। যার মধ্যে সদর উপজেলায় ৭৬২ জন, গাংনী উপজেলায় ৪২৪ জন ও মুজিবনগর উপজেলায় ১৮১ জন রয়েছেন। এছাড়া এ পর্যন্ত জেলায় মারা গেছেন ৭০ জন। যার মধ্যে সদর উপজেলায় ২৮ জন, গাংনী উপজেলার ২৬ জন ও মুজিবনগর উপজেলার ১৬ জন রয়েছেন।
এদিকে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় দফায় উদ্বেগজনক হারে সংক্রমণ বৃদ্ধিতে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে। মাঠে নেমেছে র্যাব, সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরা।
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ