মেহেরপুরে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) এর উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী অনুজ কুমার দেকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বারিকুল ইসলাম লিজন ও তার সহযোগী রাশেদুল ইসলাম আনন্দের বিরুদ্ধে। আজ সোমবার (২১ জুন) সকাল সাড়ে দশটার দিকে মেহেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের অফিসে এ ঘটনা ঘটে।
![](https://www.mathabhanga.com/wp-content/uploads/2021/06/gg-2-300x169.jpg)
লাঞ্ছনার শিকার অনুজ কুমার দে বলেন, ঘটনা হচ্ছে সাপ্লাই মালামাল নিয়ে। শাহীদ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অথোরাইজড হিসাবে কাজ করে বারিকুল ইসলাম লিজন। তিনি কয়েকদিন যাবত আমাকে কনভেন্স করার চেষ্টা করছে। ঘটনার সময় (সকাল ১০টা ২০ মিনিটে) তারা অফিসে আমার কক্ষে আসেন। এসেই প্রশ্ন করে আমি কত সালে এসএসসি পাস করেছি। আমি বলি ২০০৮ সালে এসএসসি পাস করেছি। তাদের কাজের কথা জিজ্ঞাসা করলে আমি বলি তাদের সাপ্লাইয়ের যে কাজটি আছে তার মেয়াদ গত ১৮ তারিখে শেষ হয়ে গিয়েছে। তারা ওই কাজের বিল বেশি করে দিতে বলে। আমি বলি আপনারা যতটুকু কাজ করেছেন আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলে দিয়েছে ঠিক ততটুকু বিল প্রদান করতে। তারপরেও ওই কাজের বিল জন্য আমাকে চাপ প্রয়োগ করেন। তখন আমি বলি এটা আমার পক্ষে সম্ভব না। তখনই তারা আমাকে তুই-তুকারি শুরু করে খারাপ ব্যবহার শুরু করেন। এ সময় আমি আমার রুম থেকে বের হতে চাইলে লিজন আমার হাত চেপে ধরে বলে তুই এখানে বসে থাক। দেখ এখন তোর কি করি। এ সময় আমি আমার হাত ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে লিজন আমার উপর চড়াও হয়ে চড় থাপ্পড় মারেন। লিজনের সঙ্গে থাকা রাশেদুল ইসলাম আনন্দ তাকে সহযোগিতা করে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
অনুজ কুমার দে আরো বলেন, সংস্কার কাজের জন্য পাথর, প্রিগ্রাভেলস, বালি, জ্বালানি কাঠ, ব্যাগ ইত্যাদি ক্রয়ের জন্য শহীদুল এন্টাপ্রাইজ দরপত্র পায়। পরে সেই কাজ বারিকুল ইসলাম কিনে নেয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ২০ থেকে ৩০ ভাগ মালামাল সরবরাহ করেছেন তিনি। যার মূল্য ১২-১৩ লাখ টাকা হতে পারে। কিন্তু শতভাগ মালামাল সরবারাহের কথা বলে ৩৯ লাখ টাকার বিল সাবমিট করেছেন। আমি তাদের বলি, যতটুকু মালামাল সরবরাহ করেছেন সেই পরিমাণ টাকার বিল দিতে পারব।
অভিযুক্ত বারিকুল ইসলাম লিজন বলেন, প্রকৌশলী অনুজ কুমারদেকে মারধরের অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমি তাদের কাছে থেকে বিল পাব। কিন্তু বিল না দিয়ে ঘোরাচ্ছে। আমি বলেছি জুন ক্লোজিং শেষ হয়ে যাচ্ছে বিলটা তাড়াতাড়ি দিয়ে দেন, কিন্তু বিল না দিয়ে কাল দেব পরশু দেব বলে শুধু ঘোরাচ্ছে। যে কারণে কথাকাটাকাটি হয়েছে।
তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।