স্টাফ রিপোর্টার: মাঘের শুরুতে শৈত্যপ্রবাহের মধ্যেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এই বৃদ্ধিতে শীতের অনুভূতি কিছুটা বাড়লেও দুয়েক দিন পর তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন। চুয়াডাঙ্গা, পাবনা, নওগাঁ ও কুড়িগ্রাম জেলায় এখন বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। রাজশাহীতে বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে; ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ছিলো ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো টেকনাফে ২৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, আগামী দুয়েক দিন রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা বৃষ্টি বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। রবি-সোমবার বৃষ্টি হতে পারে ঢাকাতেও। ‘চলমান শৈত্যপ্রবাহ কেটে যাবে শিগগির। তবে উত্তুরে হাওয়ায় শীতালু অনভূতি থাকবে বেশ। বৃষ্টির কারণে শুক্রবার থেকে কোথাও কোথাও তাপমাত্রা বাড়বে। বৃষ্টি কেটে গেলেই ২৫-২৬ জানুয়ারির দিকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে আবার।’
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবারের সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী ৫ দিন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকতে পারে। মাঘের শুরুতে পাঁচ জেলায় মৃদু শৈত্যবাহ শুরু হয়। তিন-চার দিন ধরে তা অব্যাহত রয়েছে। বড় এলাকাজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে। চলতি মরসুমে তিন দফা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। তবে কোনোটিই তিন-চার দিনের বেশি স্থায়ী হয়নি। এর মধ্যে চলতি মরসুমে ২০ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিলো ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ