স্থাপনা সরানোর কড়া নির্দেশ : ড্রেন দখল করা এক ব্যবসায়ীকে জরিমানা

চুয়াডাঙ্গা শহরের কলেজ রোড ও কোর্টমোড়-কেদারগঞ্জ সড়কে দখলমুক্ত অভিযান
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা শহরের বিভিন্ন সড়কের ফুটপাত ও ড্রেন দখলমুক্ত করতে অভিযান পরিচালনা করেছেন পৌরসভার সিইও শামীম ভুইয়া। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় পথচারীদের চলাচলে বিঘœ সৃষ্টির দায়ে ড্রেন দখল করা এক ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) দায়িত্বে থাকা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভুইয়া শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরে অভিযান পরিচালনা করেন। ফুটপাত ও ড্রেন দখলমুক্ত করতে চালানো এ অভিযানে অংশ নেন পৌরসভার সার্ভেয়ার ও সহকারী প্রকৌশলীসহ কর্মকর্তারা। প্রথমে শহরের জীবননগর বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে কেদারগঞ্জ নতুনবাজার ফিরোজ রোড মোড় পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় সড়কের পাশের ড্রেন দখলমুক্ত করার নির্দেশ এবং সড়কের পাশে রাখা ইট, বালি, খোয়া সরিয়ে নেয়ার জন্য সতর্ক করা হয়। এছাড়া, ড্রেনের ওপরে দোকানের ছাউনী, হোটেল, মোটর সাইকেল গ্যারেজ মালিকদের কার্যক্রম বন্ধসহ নির্মাণ সামগ্রী সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন। চুয়াডাঙ্গা ইম্প্যাক্ট ভবনের পাশে একটি মার্কেটের সামনে সড়ক থেকে শুরু করে গাড়ী ওঠানোর নির্মাণাধীন রাস্তা তাৎক্ষনিকভাবে ভেঙে পৌরসভার গাড়ীতে তোলা হয়। ড্রেন দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়ে আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন সুমন মোটরসকে ৫শ’ টাকা জরিমানা করা হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় কোর্ট মোড় থেকে জান্নাতুল মাওলা কবরস্থান সড়ক পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। কলেজ রোডের মরহুম মন্টু উকিলের বাসা সংলগ্ন একটি গাছের গোড়া থেকে নির্মাণ সামগ্রী ও বালি পৌরসভার গাড়ীতে উঠিয়ে অন্যত্রে সরানো হয়।
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শামীম ভুইয়া বলেন, সড়কের পাশেই রয়েছে ফুটপাত-ড্রেন। সড়কে চলবে যানবাহন, আর ফুটপাতে পথচারি। ফুটপাত-ড্রেন করা হয়েছে সাধারণ মানুষের নির্বিঘেœ চলাচলের জন্য। কারো ব্যবসা পরিচালনার জন্য করা হয়নি। সুতরাং পৌর এলাকার সকল ফুটপাত এবং ড্রেনের ওপর থাকা সকল স্থাপনা সরিয়ে নিতে হবে। তিনি বলেন, সড়কের দুপাশে বিধি বর্হিভুতভাবে যে সকল দোকান-পাট গড়ে উঠেছে তা সরিয়ে নেয়ার পাশাপাশি পরবর্তীতে যেন ড্রেন ও ফুটপথ দখল না করা হয় সে ব্যাপারে সতর্ক করে দেন। অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা আইনাল হক, আদালত সহকারী সোবহান আলী, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান কাওছার, সার্ভেয়ার আবুল হাশেম, কঞ্জারভেন্সী পরিদর্শক যুবায়ের আহম্মেদসহ পৌরসভার কর্মচারীরা।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More