চুয়াডাঙ্গায়করোনা আক্রান্ত কৃষকের ভুট্টা ঘরে তুলে দিলো পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্তের ভুট্টা কেটে দিলো পুলিশ। গতকাল বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. কলিমুল্লাহ’র নেতৃত্বে ভুট্টা তোলেন পুলিশ সদস্যরা। চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাজরাহাটি গ্রামের করোনা আক্রান্ত হতদরিদ্র একজনের ভূট্টা ক্ষেত থেকে ভুট্টা তুলে প্রক্রিয়াজাত করে দেয়া হয়।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাজরাহাটি গ্রামের একজন মানিকগঞ্জ জেলার একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করেন। দেশব্যাপী করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধকল্পে লকডাউন ঘোষণা হলে তিনি ২০ দিন আগে বাড়ী চলে আসেন। পরে মেডিকেল টিম তার শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর, ঢাকা প্রেরণ করলে শরীরের কোভিড-১৯ পজেটিভ আসে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের ফলে তার পরিবারসহ আশেপাশের ৬-৭টি বাড়ি লকডাউন করে দেয়া হয়। করোনা আক্রান্ত ছেলেটি তার পরিবারের একমাত্র উর্পাজনক্ষম। তার অসুস্থতার কারনে পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়ে। তাদের একটি ভুট্টার ক্ষেত আছে। ভুট্টা কেটে ঘরে তোলার মতো হয়ে গেছে। কিন্তু কোনো শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছিলো না বা আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে এমন কাউকে পাওয়া যাচ্ছিলো না যে এই পরিবারকে সাহায্য ও সহযোগিতা করতে পারে।
খবর পেয়ে জেলা পুলিশের প্রধান জাহিদুল ইসলাম সিদ্ধান্ত নেন তার ক্ষেতের ভুট্টা কেটে দেয়ার। সেই নির্দেশ অনুযায়ী গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. কলিমুল্লাহর নেতৃত্বে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খানসহ সদর থানা পুলিশের একটি দল হাজরাহাটি মাঠপাড়া নামক স্থানে ওই ব্যক্তির ভুট্টাক্ষেতে উপস্থিত হয়ে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকসহ সম্মিলিতভাবে ভুট্টাক্ষেত থেকে ভুট্টা সংগ্রহ এবং প্রক্রিয়াজাত করে তার পরিবারের নিকট হস্তান্তরের ব্যবস্থা করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. কলিমুল্লাহ জানান, গত কয়েকদিন আগে করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে ওই ব্যক্তির। তারপর থেকেই তার বাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করে দেয় পুলিশ। লকডাউনের পর থেকেই তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। দৈনন্দিন কাজকর্ম থেকেও বিরত আছেন। এর মধ্যে পুলিশ জানতে পারে তার আবাদি একখ- জমির ভুট্টা পরিপক্ক হয়ে গেছে। অথচ তিনি হোম আইসোলেশনে থাকায় তা কাটতে পারছেন না।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জানান, ওই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তিনি। কিন্তু করোনা আক্রান্তের পর থেকে কাজ করতে না পেরে অনেকটা অসহায় অবস্থায় রয়েছে পরিবারটি। তাই পুলিশ চেষ্টা করছে পরিবারটির পাশে থেকে সব ধরনের সহায়তা দেয়ার। তাই তার বাড়িতে নিয়মিত খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More