রিপোর্ট আসেনি, দুদিন চুয়াডাঙ্গায় শনাক্তও হয়নি : রোববার আরও ৩০ জনের নমুনা ল্যাবে প্রেরণ
স্টাফ রিপোর্টার: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্তের জন্য ৩০ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছে চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ। রোববার তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলেও শনিবারের মতো গতকালও আসেনি পূর্বের পাঠানো নমুনার ফলাফল। তবে রোববার খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবের পরীক্ষায় ৪৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়। তার মধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলার ১জন রয়েছেন। তবে গত শনি ও রোববার নমুনা পরীক্ষার ফলাফল না এলেও এদিন চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত সক্রিয় রোগীদের মধ্যে সুস্থতা পান আরও ৫ জন। এ নিয়ে শনিবার পর্যন্ত জেলায় মোট সুস্থ হলেন ১ হাজার ৭২৭ জন। ওইদিন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছিলো ৮১ জন।
স্বাস্থ্য বিভাগসূত্রে জানা গেছে, শনিবার চুয়াডাঙ্গা জেলায় সক্রিয় ৮১ জন রোগীর মধ্যে হাসপাতালে ছিলেন ৬ জন ও বাড়িতে আইসোলেশনে ছিলেন ৬৯ জন। এছাড়াও উন্নত চিকিৎসার জন্য আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানান্তর করা হয় ৬ জনকে। বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সক্রিয় রোগী ৪৪ জন। এর মধ্যে ৩৫ জন বাড়িতে, ৪ জন হাসপাতালে ৫ জন রেফার রয়েছেন। আলমডাঙ্গা উপজেলায় সক্রিয় রোগী ১০ জনের মধ্যে ৯ জন বাড়িতে, একজন হাসপাতালে। দামুড়হুদা উপজেলায় সক্রিয় ১৬ জন রোগীর মধ্যে ১৫ জন বাড়িতে একজন হাসপাতালে। জীবননগর উপজেলায় সক্রিয় রোগী ১১ জনের মধ্যে ১০জন বাড়িতে একজন রেফার রয়েছেন।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গায় এ পর্যন্ত মোট ৯ হাজার ২৯৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়া গেছে ৯ হাজার ৫৮ জনের। জেলায় স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৬ জন। যদিও বেসরকারি হিসেবে মৃতের সংখ্যা ৫৯ জন।