ভাইরাস নিয়ে উদাসীনতা মানেই সর্বনাশ ডেকে আনা

ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, শীতের মধ্যে নোভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার বাড়বে। না, শীতের মধ্যে আমাদের দেশে কোভিড-১৯ এর তেমন প্রকোপ পরিলক্ষিত হয়নি। শীত যাওয়ার সাথে সাথে আবারও ভাইরাস ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। দ্রুত সংক্রমিত হচ্ছে। মৃত্যুর হার যেমন বেড়েছে, তেমনই আক্রান্তের সূচুকও ঊর্ধ্বমূখি। এ অবস্থায় স্বাস্থ্য বিধি না মেনে চললে পরিনতি যে ভয়ানক তা বলাই বাহূল্য।
চুয়াডাঙ্গায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার বেশ কিছুদিন ধরে স্থিতিশিল অবস্থায় থাকলেও মৃতের সংখ্যা বেড়েছে। সর্বশেষ উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ার পর তার শরীরের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করে স্বাস্থ্য বিভাগ নিশ্চিত হয়েছে, ওই ব্যক্তি কোভিড-১৯ পজেটিভ ছিলেন। এরকম কতজনের শরীরে করোনা ভাইরাস বাসা বেধেছে, আর কতজনকে প্রচ- স্বাশকষ্ট নিয়ে মরতে হবে কে জানে! বিশ^ মহামারি নোভেল করোনা ভাইরাস শুধু আমাদের দেশেই সংক্রমণের হার বাড়েনি, বিশে^র অনেক দেশে আবারও বেশামাল করে তুলেছে। লকডাউনেও যেতে হয়েছে বহু সমাজের অসংখ্য পরিবারকে। এ পরিস্থিতির মধ্যে পড়া সমাজকে কতোটা পিছিয়ে পড়তে হয়, কতোজনকে অনাহারে থাকতে হয় তা গতবছরের অধিকাংশ জুড়েই বিশ^বাসী অবলকন করেছে। আবারও ওই পরিস্থিতির শিকার হওয়া মানে ভারাইসের সাথে মানব সভ্যতার পরাজয়। এ পরাজয় যে, কিছু মানুষের দায়িত্বজ্ঞানহীন তারই কুফল তা অস্বীকার করা যায় না। বাড়ির বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে, সকলকে সামাজিক দূরুত্ব বজয় রাখতে হবে। উপসর্গ দেখা দেয়ার সাথে সাথে পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ছুটতে হবে। বিশে^র অনেক দেশের তুলনায় আমাদের দেশে মৃত্যু হার কম মানে এই নয়- জনসংখ্যা বিস্ফোরণের দেশে ভাইরাস দয়া দেখাবে। ভৌগলিক কারণে কিছু সুবিধা থাক আর না থাক, সতর্কতা অবলম্বনের মাধ্যমে সমাজের সুরক্ষা নিশ্চিত করাই দায়িত্বশীলতা। সমাজের দু একজন দায়িত্বশীল হলে ভয়ানক ছোঁয়াছে এই ভারাস থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে না, সকলকেই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।
সমাজে একজনের মধ্যেও যদি ওই ভারাস থাকে তা দ্রুত চক্রবৃদ্ধি হারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ভয়াবহ ছোঁয়াছে ওই ভাইরাস থেকে বিশ^বাসীকে রক্ষা করতে বিজ্ঞান অনেকদূর এগিয়েছে বটে, তবে তা এখনও শতভাগ নিশ্চয়তা দেয়ার মতো পর্যায়ে পৌঁছুয়নি। ফলে ভাইরাস থেকে নিজেকে এবং সমাজকে বাঁচাতে হলে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা জরুরি। ভাইরাস নিয়ে উদাসিনতা মানেই সর্বনাশ ডেকে আনা। সজাগ হোন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More