আজ থেকে আবারও শীত বাড়তে পারে

স্টাফ রিপোর্টার: মাঘ মাসের ১০ দিন পার হয়ে গেছে। কিন্তু এখনও ‘বাঘ কাঁপানো’ শীত শুরু হয়নি। শীতের নির্মল আকাশের দেখা নেই। সারাদিনই আকাশের মুখ ভার। পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে ঝরেছে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিও। আর দিগন্তবিস্তৃত কুয়াশা তো আছেই। পৌষ মাসেও বেশ কিছুদিন চলেছে মেঘ-বৃষ্টির এমন খেলা। মেঘ ও কুয়াশার কারণে বাংলাদেশের অনেক স্থানে দিনের অধিকাংশ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। এসব এলাকায় ঠান্ডা অনুভূতিও বেশি। কিন্তু সারাদেশে তাপমাত্রা মাঘের স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি। গত দু’দিন ধরে দেশের কোথাও নেই শৈত্যপ্রবাহ। সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১১ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ কক্সবাজার ও টেকনাফে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সারাদেশের আকাশ সোমবারও ছিল মেঘাচ্ছন্ন। কোথাও কোথাও গুঁড়িগুঁড়ি ও হালকা বৃষ্টি হয়েছে। দেশে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ঢাকা ও কুমারখালীতে। এ বৃষ্টি চলতে পারে মঙ্গলবার পর্যন্ত। মেঘ বুধবারের মধ্যে কেটে যাবে বলে জানান আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ। তিনি বলেন, সোমবার দেশের উত্তরাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং দেশের অন্যত্র সামান্য কমতে পারে। আগামী দুই দিনে রাতের তাপমাত্রা কমবে।
আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা জানান, বৃষ্টির প্রভাব কেটে গেলে মঙ্গলবারের পর ফের তাপমাত্রা কমতে থাকবে। এবার মাঘের শুরুতে পাঁচ জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলে তিন-চার দিন ধরে। মাসের শেষদিকে ফের শীতের প্রভাব বাড়বে বলে আভাস দেন এ আবহাওয়াবিদ। চলতি মৌসুমে এ পর্যন্ত তিন দফা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। তবে কোনোটিই তিন-চার দিনের বেশি স্থায়ী হয়নি। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিল ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা চলতি মৌসুমে সর্বনিম্ন। ঢাকাবাসী এখনও শৈত্যপ্রবাহের দেখা পাননি।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More