চুয়াডাঙ্গার দোস্তের বটতলায় পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই : স্থানীয়দের সহযোগিতায় টাকা উদ্ধার ও ছিনতাইকারী আটক

বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার দোস্ত আমতলা মোড়ের অদূরবর্তী বটতলা নামক স্থানে দিনে দুপুরে পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ছিনতাইকারীরা পথচারীকে মারধর করে নগদ টাকা ছিনিয়েছে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই স্থানীয় লোকজন ছিনতাইকারীদের নিকট থেকে ছিনতাই হওয়া টাকা উদ্ধার করেছে। সেই সাথে পুলিশ ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত থাকা দোস্ত গ্রামের নয়নকে গ্রেফতার করেছে। কৌশলে পালিয়েছে সাথে থাকা আলোচিত সাইদুর।

স্থানীয়রা জানান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের বলদিয়া গ্রামের হানিফ আলীর ছেলে হামিদুল ইসলাম (২৭) গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে ডুগডুগি বাজার থেকে বস্তা সেলাইয়ের কাজ সেরে বাইসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলো। এসময় তিনি দোস্ত আমতলা মোড়ের অদূরবর্তী বটতলার নিকট পৌছুলে দু’জন ছিনতাইকারী হামিদুলের গতিরোধ করে। ছিনতাইকারীরা নিজেদেরকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে কাছে যা আছে বের করে দিতে বলে হামিদুলকে। উপায়ান্ত না পেয়ে হামিদুল ভয়ে পকেটে থাকা ৪শ’ টাকা বের করে দেয়। হামিদুল জানান, এসময় ছিনতাইকারীরা তার পকেটে জোর করে গাঁজা ঢুকিয়ে দিয়ে চালান দেবার ভয় দেখায় এবং আরও ৫ হাজার টাকা মোবাইল করে বাড়ি থেকে আনতে বলে। হামিদুল ছিনতাইকারীদের সাথে জোরাজুরি করলে তাকে বেশ কয়েকটা চড় থাপ্পড় মারে। সে কাঁদতে কাঁদতে আমতলা মোড়ে এসে উপস্থিত লোকজনের সাথে ঘটনার বর্ণনা দিতে থাকে। ঠিক সে সময়েই ছিনতাইকারীরা আমতলা মোড়ের কিছুদূর দিয়ে দর্শনার দিকে যাচ্ছিলো। হামিদুল তাদেরকে চিনে ফেলে এবং স্থানীয়দের দেখিয়ে দেয়। হামিদুলের কথামতো লোকজন দোস্ত গ্রামের ভুঞাপাড়ার মাসুদ ড্রাইভার ও মাফির ছেলে নয়ন (২৪) ও একই পাড়ার সিরাজুল ইসলাম ওরফে সিরুর ছেলে সাইদুরকে (২৩) ডাকে। স্থানীয়রা তাদের দু’জনকে জোরালো জিজ্ঞাসাবাদ করলে এক পর্যায় তারা ছিনতাই করে নেয়া ৪শ’ টাকা হামিদুলকে ফেরত দেয়। পরে খবর পেয়ে হিজলগাড়ী ক্যাম্প পুলিশ নয়নকে গ্রেফতার করতে পারলেও কৌশলে পালিয়ে যায় সাইদুর। হিজলগাড়ী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই কিশোর কুমার বলেন, নয়নকে গ্রেফতার করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। বাকি সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষ নেবেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More