জীবননগরে সেহরির পরপরই বাজারে পুলিশ

 

জীবননগর ব্যুরো: করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জীবননগর থানা পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। দ্বিতীয় দফায় লকডাউন শুরু হলে বিশেষ করে মহিলাদের ঈদের কেনাকাটায় মারাত্মকভাবে ছেদ পড়ে। কেনাকাটা করতে না পারায় অসহিষ্ণু হয়ে পড়া মহিলারা প্রতিদিন কাকডাকা ভোরে শিশু সন্তানদের নিয়ে ঈদের জামা কাপড় কিনতে গার্মেন্টসগুলোর সামনে এসে বসে থাকছেন। ফলে এ উপজেলায় লকডাউন সঠিকভাবে কার্যকর হচ্ছিলো না। বিষয়টি বুঝতে পেরে লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশও ঘুম ছেড়ে দিয়েছে। গতকাল সোমবার সেহরীর পর হতেই বাজারে অবস্থান নেয় পুলিশ। ফলে কেনাকাটা করতে না পেরে নিরাশ বদনে বাড়িতে ফিরে যান মহিলারা।

বিভিন্ন সূত্র জানায়, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকার নানা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছে। লকডাউন চলা অবস্থাতে বাজারের অধিকাংশ দোকান হাফ সার্টার খুলে বেচা-বিক্রি করে আসছিলো। ক্রেতাদের সিংহ ভাগই মহিলা। গত ১০ মে হতে লকডাউন তুলে নিলে ঈদের কেনাকাটা সারতে বাজারে মহিলারা হুমড়ি খেয়ে পড়ে। একটি সূত্র বলেছে, প্রতিদিন বাজারে যদি ১০ হাজার ক্রেতা এসে থাকে তার মধ্যে ৭ হাজারই মহিলা। এর মধ্যে আবার তাদের সাথে থাকছে কমপক্ষে দুটি করে সন্তান। শহরের প্রতিটি গার্মেন্টস, ক্লথ, মুদি দোকান ও কসমেটিক্সের দোকানে পরিলক্ষিত হতে থাকে উপচে পড়া ভিড়। এসকল মার্কেটে নেই হাত ধোয়ার কোনো ব্যবস্থা এবং দোকানে নেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার। জীবননগর বাজার মনিটরিং বাজার মনিটরিঙে বের হয়ে এ অবস্থা দেখতে পেয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে এবং শহরের দুটি গার্মেন্টস বন্ধ করে দেয়। এ অবস্থার মধ্যে আবার দ্বিতীয় দফা লকডাউন শুরু হলে আবারো দোকান পাট সব বন্ধ হয়ে যায়। দোকান পাট বন্ধ হলেও ভোরে দোকান খুলে বিক্রি করা হচ্ছিলো কাপড়সহ মালামাল। ক্রেতাদের সিংহভাগই মহিলা ও শিশু। ফলে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়। বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরে পুলিশও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের নেয়া পদক্ষেপ বাস্তাবায়নে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জীবননগর বাজার নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বদ্ধ পরিকর। তিনি জানান, রোববার রাতে আমার ছেলেরা ঘুমাইনি। সেহরি খেয়ে তারা জীবননগর শহরের গুরুত্বপূর্ণ সকল মার্কেট ও দোকানের সামনে অবস্থান নেয়। ফলে প্রত্যুষে কোনাকাটা করতে আসা খরিরদাররা কেনাকাটা না করতে পেরে ফিরে গেছে। পুলিশ তাদেরকে বুঝিয়ে বাড়ি বাড়ি পাঠায়।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More