দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা একের পর এক রেকর্ড ভাংছে : সর্বশেষ ২৪ঘণ্টায় ২৩ জনের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার: করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ২ হাজার ৫২৩ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে। করোনায় আক্রান্ত সংখ্যার হিসাবে এটিই সর্বোচ্চ। এ নিয়ে দেশে মোট কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হলেন ৪২ হাজার ৮৪৪ জন এবং মারা গেলেন ৫৮২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৯০ জন এবং মোট সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ১৫ জন।

শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৩০১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৫২৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ২৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৯ জন ও নারী ৪ জন। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৯০ জন এবং মোট সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ১৫ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১.০৪ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ১.৩৬ শতাংশ। বয়স বিশ্লেষণে ১১-২০ বছরের মধ্যে একজন, ২১-৩০ বছরের মধ্যে এক জন, ৩১-৪০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৬১-৭০ বছরের মধ্যে ৬ জন এবং ৭১-৮০ বছরের মধ্যে ২ জন এবং ৮১-৯০ বছরেরমধ্যে একজন মারা গেছেন। বিভাগভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ১০ জন, চট্টগ্রামে ৯ জন, রংপুরে ২ জন, বরিশালে একজন ও সিলেটে একজন মারা গেছেন। এর মধ্যে হাসপাতালে ২১ জন ও বাসায় একজন মারা গেছেন। এলাকাভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ঢাকা সিটিতে ৪ জন, ঢাকা জেলায় একজন, নারায়ণগঞ্জে ২ জন, মুন্সীগঞ্জে একজন, মানিকগঞ্জে একজন, কিশোরগঞ্জে একজন, চট্টগ্রাম সিটিতে ৬ জন, কুমিল্লায় একজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন, ফেনীতে একজন, রংপুরে ২ জন, ভোলায় ২ জন ও সিলেটে ২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।

প্রসঙ্গত গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগীশনাক্ত হন ৮ মার্চ এবং এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ। ২৫ মার্চ প্রথমবারের মতো রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানায়, বাংলাদেশে সীমিত পরিসরে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সামাজিকভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More