মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈন হাসান জোয়ার্দ্দারের নির্দেশনা ও জেহালা ইউনিয়ন যুবলীগের অর্থায়নে রেলস্টেশনের ভিক্ষুক জোসনা পাগলী ও তার প্রতিবন্ধী ছেলেকে ১টি ঘর ও ১টি ছাগল প্রদান করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে ইউনিয়ন যুবলীগের দলীয় কার্যালয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে এ ঘর এবং ছাগল প্রদান করা হয়।
জানা গেছে, দীর্ঘ ২৫ বছর আগে ময়মনসিংহ জেলা থেকে স্বামী আব্দুল মতিব ও এক মেয়েকে নিয়ে ভিক্ষুক জোসনা পাগলী মুন্সিগঞ্জে আসেন। জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের পাশে পলিথিন দিয়ে একটি খুপরি ঘর তৈরি করে বসবাস শুরু করেন তিনি। কিছুদিন পর এক ছেলে ও মেয়ে সন্তান জন্ম নেই। প্রায় ১৫ বছর আগে জোসনা পাগলীর স্বামী মারা যাওয়ার পর দুই নিঃসন্তান দম্পতি সেই সন্তান দুটি নিয়ে যায়। ছেলে সন্তান মোবারেক প্রতিবন্ধী হওয়ায় কেউ নেয়ার আগ্রহ দেখাননি। তার বয়স এখন ১৬ বছর। জোসনা স্বামী সন্তান হারিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের খুপরি ঘর ছেড়ে মুন্সিগঞ্জ রেল স্টেশনের প্লাটফর্মে চলে আসেন। প্ল্যাটফর্মের একটি ছাউনির নিচে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন। অনেকেই তাকে আশ্রয়ন প্রকল্পে যাওয়ার পরামর্শ দিলেও তিনি যেতে চাননি। স্টেশনের এক কোনায় কাঁথা-কাপড় লেপ গুছিয়ে রেখে সারাদিন প্রতিবন্ধী ছেলের হাত ধরে বিভিন্ন বাজার ও গ্রামে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলে তার সংসার। বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হলে জেহালা ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক মোখলেছুর রহমান শিলন বিষয়টা জেলা যুবলীগের আহŸায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারকে জানান। তারই নির্দেশে স্টেশনের প্লাটফর্মের পাশে ইউনিয়ন যুবলীগের অর্থায়নে একটি টিনের তৈরি ঘর তুলে দেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে ইউনিয়ন যুবলীগের নেতাকর্মীরা ঘরটি জোসনা পাগলীর হাতে তুলে দেন ও একটি ছাগল প্রদান করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেহালা ইউনিয়ন যুবলীগের আহŸায়ক মোখলেসুর রহমান শিলন, শুকনো আহ্বায়ক হারুন-অর-রশিদ বকুল, আনারুল মেম্বার, যুবলীগ নেতা নজরুল মেম্বার, জনি মেম্বার, আলমগীর, সবুজ, রিকু, মজিবুল, নান্নু, আনন্দ, শুভ, সমীর, টিটন, কাদের, সাইদুর, সোনা মিয়া, রকিবুল, আমির হোসেন, জনি, রিঙ্কু, নবী, রিয়ন, আরিফুল নাসির, শাহিন, কালু, আজিজ, কামাল, আলী হোসেন, সিদ্দিক প্রমুখ। এ ব্যাপারে জোসনা পাগলী তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি জানান, দীর্ঘ ২৫ বছর রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে খেয়ে না খেয়ে রেল স্টেশনের প্লাটফর্মে প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে বসবাস করে আসছি। মা ছেলে প্রতিবন্ধী ভাতা পেয়েছি। অবশেষে একটি মাথা গোঁজার ঠাঁই পেলাম।
পূর্ববর্তী পোস্ট
আলমডাঙ্গার জেহালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মতবিনিময় ও ফুটবল বিতরণ
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ