বিদ্রোহী কবিতার শতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে কার্পাসডাঙ্গায় আলোচনাসভা

কাজী নজরুল গণমানুষের কবি বাঙালি জাতির প্রেরণার উৎস
স্টাফ রিপোর্টার: বিদ্রোহ ও তারুণ্যের কবি কাজী নজরুল ইসলাম। বাংলাকাব্যে ধুমকেতুর মতোই তার আবির্ভাব। কবি বিদ্রোহ করেছিলেন সকল অন্যায়, অসত্য, শোষণ-নির্যাতন আর দুঃখ-দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে। কবিতা লেখার অপরাধে কারারুদ্ধ হন। বন্দি করেও থামানো যায়নি তার লেখা। চরম আর্থিক অনটন আর দুঃখ-দরিদ্র্যের মধ্যেই তার বাল্যকাল কাটে বলে তাকে সবাই দুখুমিয়া বলে ডাকতো। কবি ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। ১৯১২ সালে কবি আসানসোলের একটি হোটেলে স্বল্প বেতনে কাজ করতেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবি ও কবি পরিবারকে স্থায়ীভাবে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন ১৯৭২ সালে এবং কবিকে জাতীয় কবির মর্যাদায় অভিষিক্ত করেন। তিনি প্রায় চার হাজারের মতো গান রচনা করেন। তার লেখা গান আজও খুব জনপ্রিয়। আমাদের রণ সঙ্গীত ‘চল চল চল’ এর রচয়িতা তিনি। গণমানুষের এ কবি চিরকাল আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন। আজ তার বিদ্রোহী কবিতা ‘বল বীর’ শতবার্ষিকী পালন করা হচ্ছে। তার এই কবিতার মাধ্যমে বাংলা মানুষ ইংরেজদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলো। উপরোক্ত কথাগুলো বলেন কবি নজরুল ইনস্টিটিউট নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ জাকির হোসেন। গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে জাতীয় কবির বিদ্রোহী কবিতার শতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গায় অনুষ্ঠিত সভায় এসব কথা বলেন তিনি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, কার্পাসডাঙ্গায় অবস্থানকালীন কবি অবসর সময়ে মিশন স্কুলের বাগান সংলগ্ন ভৈরব নদীর স্নানঘাটের শান বাঁধানো সিঁড়িতে বসে কবি নজরুল রচনা করেছেন অনেক গান, কবিতা ও প্রবন্ধ লিখতেন।
এসময় যে ঘরে কবি থাকতেন সেই আটচালা ঘর পরিদর্শন এবং কবির স্মৃতিফলকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন প্রধান অতিথি। এসময় তিনি বলেন এ কার্পাসডাঙ্গায় নজরুল ইনস্টিটিউট, সেমিনার রুম, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, অডিটোরিয়াম, রেস্ট হাউজ এবং লাইব্রেরি হবে। কার্পাসডাঙ্গা মিশন স্কুলের হলরুমে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জাহিদুল ইসলাম, দামুড়হুদা উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা মো. মহি উদ্দীন, আটচালা ঘরের মালিক প্রকৃত বিশ্বাস। অগ্নিবীনার সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, কার্পাসডাঙ্গা নজরুল স্মৃতি সংসদের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল গফুর, কার্পাসডাঙ্গা নজরুল স্মৃতি সংসদের সম্পাদক সাইফুল ইসলাম। আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক হাসমত আলী, রঘুনাথ পাল, মোস্তাফিজুর রহমান কচি ও মেহেদী হাসান মিলন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুন্সি আবু সাইফ। অনুষ্ঠান শেষে নজরুলের ওপর একক কবিতা আবৃত্তি করেন আবু সাইদ, সিরাজুল ইসলাম, আফসোনা কণা, শুভ, প্রিয় ছন্দা মেঘ ও উম্মে সাইদা আলম।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More