চুয়াডাঙ্গায় ইজিবাইক চালকদের সাথে পৌর পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত : ৭ দিনের মধ্যে যাত্রীদের আলাদা বসার ব্যবস্থা করতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরে চলাচলকারী সকল ইজিবাইকে চারজনের আলাদা আলাদা বসার ব্যবস্থা করতে হবে। সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে রেকসিন দিয়ে চারভাগে ভাগ করতে হবে। জেলা শহরে যাত্রীবহন করতে হলে সকল চালককে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই করতে হবে। ইজিবাইকে পার্টিশন করার জন্য সাতদিন সময় দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এ নির্দেশনা না মানলে আগামী ২৫ জুলাইয়ের পর থেকে জেলা শহরে কোনো ইজিবাইক যাত্রীবহন করতে পারবে না। প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। ইজিবাইক মালিক-শ্রমিক কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে পৌর পরিষদের আলোচনা সভায় এ কথা জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান। পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপুর সভাপতিত্বে গতকাল রোববার বিকেল ৪টার দিকে পৌরসভার সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সরকারি নির্দেশনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরও বলেন, আগামী ২৫ জুলাইয়ের পর থেকে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে শহরে কোনো ইজিবাইক যাত্রী বহন করতে পারবে না। এই সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারি নির্দেশনা অনযায়ী সকল ইজিবাইকে রেকসিন কাগজ দিয়ে আড়াআড়ি ও লম্বালম্বিভাবে ভেতরে চারজনের আলাদা আলাদা বসার ব্যবস্থা করতে হবে। এতে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, প্রথমে হার্ডবোর্ড বা ককসিট ব্যবহারের কথা বলা হলেও খরচের বিষয় বিবেচনা করে টেকনিশিয়ান ও চিকিৎসকদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে রেকসিন পেপার দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। এতে খরচ কম হবে। নির্দিষ্ট সময়ের পর কেউ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান ইউএনও।
সভাপতির বক্তব্যে পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু বলেন, চুয়াডাঙ্গায় বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। কে কখন আক্রান্ত হবে বলা যায় না। সরকারি নির্দেশনা মেনে চললে আমরা এই করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে পারি। সরকার লকডাউন তুলে নিলেও নির্দেশনা দিয়েছেন বাইরে বের হলে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে। তাই আমরা যখনই বাইরে বের হবো অবশ্যই এই নিয়ম মেনে চলবো। আমরা আশা করছি এই সাত দিনের মধ্যে প্রতিটি ইজিবাইকের পার্টিশন তৈরি হয়ে যাবে। প্রশাসনের পক্ষে কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রয়োজন পরবে না। একইসাথে তিনি সকল ইজিবাইক চালক ও মালিকদের উদ্দেশে বলেন, পৌর এলাকায় ইজিবাইক চালাতে হলে স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি পৌরসভা থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে। এসময় উপস্থিত ইজিবাইক চালক সমিতির নেতৃবৃন্দ ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইজিবাইক চালানোর আশ্বাস প্রদান করেন।
আরও বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. শামীম কবির, চুয়াডাঙ্গার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মাহবুব কবির, সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) লুৎফুল কবীর। সভায় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সচিব কাজী শরিফুল ইসলাম, প্যানেল মেয়র মুন্সি রেজাউল করিম খোকন, কাউন্সিলর রাশেদুল হাসান, জাহাঙ্গীর আলম, সিরাজুল ইসলাম মনি, আবুল হোসেন, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর শেফালি খাতুন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন জ্যাকি, ইজিবাইক শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, রকিব উদ্দীন প্রমুখ।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More