ডিএনএ পরীক্ষায় প্রমাণ পাওয়ায় ধর্ষণের ৭ বছর পর মামলা

স্টাফ রিপোর্টার: ডিএনএ পরীক্ষায় প্রমাণ পাওয়ায় ধর্ষণের ৭ বছর পর মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উজেলার পাকা গ্রামের দিদার হোসেনের ছেলে মিলনকে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন তারই আপন চাচাতো বোন। আইনি সহায়তা দেয়ার জন্য পাশে দাঁড়িয়েছে মানবতা ফাউন্ডেশন। সূত্রে জানা গেছে, আত্মীয়তার সুবাদে চাচাতো বোনের বাড়িতে অবাধে যাতায়াত ছিলো মিলনের। ২০১৬ সালের মে মাসের ১ তারিখে বাড়ির সবাই অন্যত্র বেড়াতে গেলে ফাঁকা বাড়িতে চাচাতো বোনকে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে মিলন। এ ঘটনায় এলাকায় সালিশ হলেও মিলন অস্বীকৃতি জানায়। এ পর্যায়ে ধর্ষণের ফলে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়ে। ২০১৭ সালের ১৪ মার্চ ওই কিশোরী একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। নাম রাখা হয়েছে রফিক। বর্তমান বয়স প্রায় ৭ বছর। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন হুমকি অব্যাহত রাখে মিলন। জীবননগর সহকারী জজ আদালতে বাচ্চার খোরপোষের মামলা করে ওই কিশোরী। বিজ্ঞ আদালত ওই কিশোরী তার গর্ভজাত সন্তান ও আসামির ডিএনএ পরীক্ষার জন্য সিআইডি ঢাকা বরাবর আবেদন করেন। ডিএনএ পরীক্ষায় মিলন সন্তানটির বাইয়োলজিক্যাল ফাদার মর্মে প্রমাণিত হয়। এরপরও মিলন তার চাচাতো বোনকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। এছাড়াও মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছে। বাধ্য হয়ে মিলনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করতে ও আইনি সহায়তা নিতে চুয়াডাঙ্গার মানবতা ফাউন্ডেশনে আবেদন করেন ওই কিশোরী। মানবতা নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. মানি খন্দকার বরাবর আবেদন করেন। এ সময় সংস্থার অপারেশন অফিসার অ্যাড. জীল্লুর রহমান জালাল উপস্থিত ছিলেন। গতকাল বুধবার চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ শুনানি হবে। এ বিষয়ে মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. মানি খন্দকার জানান, সন্তানের পিতৃ স্বীকৃতি ও আসাীির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিষয়ে ভিকটিমকে যাবতীয় আইনি সহায়তা দেবে তাদের সংস্থা মানবতা ফাউন্ডেশন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More