শ্বশুর বাড়ি জামাইকে ডেকে নিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: জামাইকে শ্বশুর বাড়ি ডেকে নিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে বেঁেধ মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় আহতকে তার স্বজনেরা উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করার পর প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করেছেন। এ ব্যাপারে আহতের চাচা সুলতান হোসেন বাদী হয়ে জীবননগর থানায় ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত শুরু করেছেন। অভিযুক্ত আসামিরা গ্রাম ছেড়ে আত্মগোপন করেছে। জীবননগর উপজেলার উত্তর বাজদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উত্তর বাজদিয়া গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে নুরু নবী (২৫) একই পাড়ার আশরাফুল ইসলাম আশার মেয়ে তানিয়া খাতুনের (২৪) সাথে প্রেমজ সর্ম্পক গড়ে তুলে প্রায় ৫ বছর পূর্বে বিয়ে করেন। তাদের ৩ বছর বয়সী একটি শিশু কন্যা রয়েছে। গত ২৩ আগস্ট শ্বশুর আশরাফুল ইসলাম তার জামাই নুরনবীকে বাড়িতে আসার দাওয়াত দেন। এ দাওয়াত পেয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে জামাই মিষ্টি নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে যান। সেখানে স্ত্রী তানিয়া খাতুনের সাথে কথাকাটাকাটি হওয়ায় ক্ষুদ্ধ হয়ে মৃত কলিমদ্দিনের ছেলে জামাল হোসেন (৪০), মৃত আক্কাচ আলীর ছেলে আব্দুর রহমান (৫৫), শাহা আলমের ছেলে নাসির উদ্দিন (৩৮), মৃত আনছার আলীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৪০) ও তার সহোদর আরিফ হোসেন (৩৫) সংঘবদ্ধভাবে রাত ৯ টার দিকে জামাই নুর নবীকে বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে অন্ডকোষসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে নির্যাতন চালিয়ে গুরুতর জখম করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহাপুর ক্যাম্পের আইসি এসআই জমির হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাক্ষীগণের জবানবন্দী লিপিবদ্ধ করেছেন। রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত নূরনবীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে সূত্রে জানা গেছে। জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা মাথাভাঙ্গাকে নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More