কেরুজ আড়িয়া ফার্মের গাছ চুরিকালে টলি আটকালো গ্রামবাসী

গড়াইটুপি/তিতুদহ প্রতিনিধি: কেরুজ চিনিকলের ৬২ আড়িয়া কৃষি খামারের ইনচার্জ মনজুর রহমানের বিরুদ্ধে গাছ চুরির অভিযোগ উঠেছে। তিনি এক অনুমতিপত্রের দোহায় দেখিয়ে বার বার ফার্মের গাছ কর্তন করে বিক্রি করায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে গ্রামবাসী। অবশেষে গাছ ভর্তি পাউয়ারট্রলি আটকে দিলো গ্রামবাসী। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত ফার্ম ইনচার্জ মনজুর রহমানের বিরুদ্ধে গাছ চুরির ঘটনায় তদন্ত কমিটির মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণের পথে হাটতে পারে মিল কর্তৃপক্ষ। কেরুজ চিনিকলের রয়েছে একটি পরীক্ষামূলক খামারসহ ১০টি বাণিজ্যিক খামার। এ খামারগুলোতে দীর্ঘদিনের অনিয়ম দূরিকরণে গতকাল বুধবার সকালে বৈঠকে সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতিটি খামার দেখভালের জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ খবর জেনে তড়িঘড়ি করে ফার্মের গাছ সরিয়ে নেয়ার পাঁয়তারা করে ফেঁসে গেলেন চুয়াডাঙ্গার ৬২ আড়িয়া বাণিজ্যিক খামারের ইনচার্জ মনজুর রহমান। সকালে কমিটি গঠন হলেও অফিস বন্ধ সময় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গোপনে পাউয়ারট্রলি ভর্তি করে মোটা মোটা ৫টি গাছের (গুড়ি) কাঠ ফার্ম এলাকা থেকে অনত্র সরাচ্ছিলেন মনজুর রহমান।
এসময় আড়িয়া গ্রামবাসী আটকে দেয় পাউয়ারট্রলি। খবর পেয়ে তড়িৎগতিতে ঘটনাস্থলে ছুটে যান মনজুর রহমান। গ্রামবাসীকে বোকা বোঝাতে কাছে থাকা একটি অনুমতিপত্র ধরিয়ে দেন। চলতি বছরের ৪ এপ্রিলের অনুমতিপত্রে ফার্মের চেয়ার-টেবিল বানানোর জন্য ঝড়ে পড়া-মরা গাছের কাঠ ব্যবহারের কথা উল্লেখ করা রয়েছে। গ্রামবাসীর অভিযোগে জানা গেছে, প্রায় আড়াই মাস আগের এ অনুমতিপত্রের দোহায় দেখিয়ে কতবার যে গাছ চুরি করেছে ফার্ম ইনচার্জ তার কোনো ইয়াত্তা নেই। এদিকে ঘনে ঘনে ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হতে থাকে। খবর পেয়ে কেরুজ চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) শেখ শাহবুদ্দিন দ্রুত দুজন নিরাপত্তা অফিসারকে পাঠান ঘটনাস্থলে। এদিকে তিতুদহ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই সাজ্জাদ হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পৌছান ঘটনাস্থলে। প্রথমে পুলিশ উদ্ধারকৃত কাঠ জব্দ করলেও পরে চিনিকলের কর্মকর্তাদের হেফাজতে দিতে হয়েছে। এ ঘটনায় মিলের এডিএম শেখ শাহবুদ্দিন বলেছেন, নিরাপত্তা অফিসাররা নোট দিলে তা ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে দেয়া হবে। সে মোতাবেক গ্রহণ করা হবে ব্যবস্থা। ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সাঈদ বলেছেন, খবর শুনেই কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছিলাম ঘটনাস্থলে। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গঠন করা হবে তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। অন্যায় করে কেউ রেহায় পাবে না, হোক না সে যতোই শক্তিশালী। শক্ত হাতে অনিয়ম দমন করবো। সেক্ষেত্রে অনিয়ম-দুর্নীতি করে কেউ ছাড় পাবে না। এ ব্যাপারে সচেতন মহলের পাশাপাশি আড়িয়াবাসী অভিমত ব্যক্ত করে বলেছে, বরাবরের মতো মনজুর রহমান এবারো কি তদন্ত কমিটিকে ম্যানেজ করে পার পেয়ে যাবে না কি ফেসে যাবে তা এখন শুধু দেখার অপেক্ষামাত্র।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More